বাবা থেকে স্ত্রী- `ফৌজি` পরিবারের সাহসী অভিনন্দন, জেনে নিন সাহসী যোদ্ধাকে
অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের অপেক্ষায় গোটা দেশ। কে এই অভিনন্দন? দেশের নায়ক এই আকাশযোদ্ধাকে আজ আরও ভালো করে চিনে নিন।
অভিনন্দন বর্তমান। আসমুদ্র-হিমাচলের মুখে মুখে ফিরছে নামটা। সামাজিক যোগাযোগ এই একটাই ছবি! পাকিস্তানের হাতে বন্দি যুদ্ধবিমান চালক দেশের নায়ক। শুক্রবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। তার আগে একঝলকে দেখে নিন, কে এই অভিনন্দন।
অভিনন্দনের আদিবাড়ী তামিলনাড়ুর থিরুপানামুর গ্রামে। ৩৪ বছর বয়সী অভিনন্দন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির ছাত্র। প্রাথমিক লেখাপড়া চেন্নাইয়ের সৈনিক ওয়েলফেয়ার স্কুলে। বায়ুসেনায় যোগ দিয়ে প্রথম যুদ্ধবিমান ওড়ান ২০০৪ সালে। সুখোই-30 ওড়াতে ওস্তাদ অভিনন্দন উইং কমান্ডার হওয়ার পর মিগ-21 বাইসন স্কোয়াড্রনের দায়িত্ব পান।
সূত্র বলছে, বিপক্ষের ঘাঁটিতে প্রবল চাপের মুখেও কর্তব্য থেকে একচুল নড়েননি। তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। কাঁটাতারের ওপারেও চোয়াল শক্ত রেখে দাঁড়িয়ে থাকার এই শক্তি কোথায় পেলেন অভিনন্দন? দেশের হয়ে লড়ে যাওয়া আসলে তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। কেন জানেন?
অভিনন্দনের বাবা-দাদা-স্ত্রী সকলেই বায়ুসেনার কর্মী বাবা সিমহাকুট্টি বর্তমান অবসরপ্রাপ্ত এয়ারমার্শাল, অবসরের আগে ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড চিফের দায়িত্বে ছিলেন মা ডাক্তার, দাদা এখনও বায়ুসেনায় কর্মরত।
অভিনন্দনের স্ত্রী তনভি মারওয়াও বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার। অভিনন্দন ও তনভির দুই সন্তান। পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, আকাশযোদ্ধা অভিনন্দন বই পড়তে ভালোবাসেন। অসম্ভব ভাল বক্তা। বুধবার বিকেলের পর থেকে এই সৈনিকের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে গোটা দেশের। কেউ প্রার্থনা করেছেন। কেউ কুর্নিশ জানিয়েছেন। অপেক্ষার অবসান। শেষমেশ ঘরে ফিরছে বীর আকাশযোদ্ধা। প্রহর গুণছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।