‘উপত্যকায় ঘুরছে ২৩০ পাক জঙ্গি, এদের তত্পরতা বন্ধ হলেই কাশ্মীরে বিধিনিষেধ উঠবে’
জম্মু ও কাশ্মীরের ৯২.৫ শতাংশ এলাকা থেকেই বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে বলে দাবি করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তবে পাক জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরের গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। এরা যতদিন তা করে যাবে ততদিন নিধিনিধেষ জারি থাকবে বলে মন্তব্য করেন দোভাল।
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ সম্পর্কে শনিবার এক অনুষ্ঠানে দোভাল বলেন, এখানকার অধিকাংশ মানুষ এই ধারা উঠে যাওয়ার পক্ষে। কিছু লোক গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। মানুষ এখন আর্থিক উন্নতি, কাজের সুযোগের আশা দেখছেন।
গত ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকা জুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফোন লাইন, ইন্টারনেট পরিষেবা। এ ব্যাপারে দোভাল বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ৯২.৫ শতাংশ এলাকা থেকে বিধিনিষেধ তুলে নওয়া হয়েছে। সব ল্যান্ডলাইন ফোন ফের সচল হয়েছে। ১৯৯টি থানার মধ্যে মাত্র ১০টি থানা এলাকায় বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।
কাশ্মীরে গোলমাল পাকানোর পেছনে পাকিস্তানকেই দায়ি করেন দোভাল। বলেন, কাশ্মীর উপত্যকার ২৩০ পাকিস্তানি জঙ্গি রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশ্মীরের অশান্তির সৃষ্টির একমাত্র পন্থই হল সন্ত্রাস। এটাই করছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে যদি বিধিনিষেধ জারি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সরকারের প্রধান উদ্দেশ্যই হল কাশ্মরিদের রক্ষা করা।
জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগের বিষয়ে দোভাল বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় পাকিস্তান জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। জঙ্গিদের তারা আপেলের ট্রাক চলাচলে বাধা দিতে বলছে। প্রসঙ্গত. গত ৬ অগাস্ট সোপোরে এক আপেল ব্যবসায়ীর ছেলেকে গুলি করেছে জঙ্গিরা। উপত্যকা থেকে সব বিধিনিষেধই তুলে দিতে চায় সরকার। কিন্তু তা নির্ভর করছে পাকিস্তানের ওপরে। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে উস্কানি দিচ্ছে তারা। পাক জঙ্গিরা তত্পরতা কমালে সরকার বিধিনিষেধ তুলে নেবে।