1/6
নিউটাউন থানার উদ্যোগে এটিএম জালিয়াতির নতুন পদ্ধতির পর্দা ফাঁস। নিউটাউন বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার মূল পান্ডা সহ তিন। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ টি এটিএম কার্ড এবং ১০ টি সিম কার্ড। পুলিস গোপনসূত্রে খবর পেয়ে নিউটাউন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখে ৩ জন যুবক বসে তাদের মোবাইলে বেশ কয়েকঘন্টা ধরে সন্দেহজনক কিছু কাজ করছে। আর কিছুক্ষন পরপর কিছু যুবক এসে এটিএম কার্ড দিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি অনেকক্ষণ লক্ষ্য করার পর পুলিস হানা দিয়ে তিনজনকে ধরে।
2/6
তাঁদের পরিচয় এবং কী কাজ করছে সেটা জানতে চায়। কিন্তু আটক তিন যুবক কী কাজ করছে সেটা বলতে অস্বীকার করে। এরপর তাঁদের থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা তাঁদের প্রতারণার কাজ ও পরিচয় জানায়। ধৃতদের ম্যারাথন জিক্ষাসাবাদের পর পুলিস জানতে পারে এই প্রতারকরা সাধারনত পিছিয়ে পড়া কিংবা শিক্ষার আলো সেইভাবে পৌছায় নি, সেইসব এলাকাগুলোকে প্রতারণা কাজের জন্য বেছে নিয়েছিল। টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার কাজে লাগায় সেইসব এলাকার ছেলেদের।।
photos
TRENDING NOW
3/6
পিছিয়ে পড়া এলাকায় লোকাল ছেলেদের দিয়ে সরকারি টাকা পাইয়ে দেবে বলে গরীব মানুষদের কাছ থেকে তাদের এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড নিয়ে নিত। তার বিনিময়ে প্রথমে কিছু টাকা তাঁদের দিত। এরপর তাঁরা সমাজের বিভিন্ন মানুষকে টার্গেট করে নিজেদের ব্যাঙ্কের কর্মী ও ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করত। ব্যাঙ্ক একাউন্ট আপডেট করতে হবে বলে তাদের কাছ থেকে ওটিপি জেনে নিয়ে সেই টাকা ওই সংগ্রহ করা এটিএমের মাধ্যমে সেই অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিত।
4/6
যেহেতু ওই এটিএম কার্ড ও তার পাসওয়ার্ড তাদের জানা ছিল সেই কারণে ট্রান্সফার হওয়া টাকা তাঁদের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে কোন অসুবিধা হত না। অভিনব বুদ্ধিতে প্রতারণার ফলে অতি সহজেই রেহাই পেয়ে যাচ্ছিল তাঁরা। প্রকৃত প্রতারকদের কোন হদিশ পাওয়া যেত না। ফেঁসে যেত সেইসব পিছিয়ে পড়া গরীব মানুষগুলো। যাদের এটিএম কার্ড এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করা হত। কারণ ওই টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকত।
5/6
6/6
photos