আশিয়ানার শিশুদিবস! কচিকাঁচার হাসিতে ঝলমলে দীপাবলি উপহার 'সংকল্প'এর

Nov 15, 2020, 10:04 AM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজি কেনার সাধ্য নেই, তাই সাধও ছিল না। দীপাবলি ওদের কাছে আর পাঁচটা দিনের মতোই সাধারণ। চিল্ড্রেনস ডে-র সংজ্ঞা ও স্পষ্ট নয় একেবারেই। ক্রাউডফান্ডিং-এই খেয়ে পরে দিনগুজরান। 'আশিয়ানা'র কচিকাঁচাদের দিনযাপন খানিক এমনই। 

2/5

বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন অবস্থায় আতসবাজির রোশনাই, পুজোর নতুন জামা বা শিশুদিবস পালনের বিলাসিতা ওদের কাছে রূপকথার সামিল। তবে কয়েকটা দিন আলাদা যায় বইকি, একটু অন্যরকম। এই যেমন আজ। শিশুদিবসের কেক কেটে, চকলেট, বিরিয়ানি, মাংস খেয়ে বেজায় খুশি আশিয়ানার খুদেরা। সৌজন্যে 'সংকল্প'। কোভিডকালের শুরু থেকেই দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন (২০১০ মাধ্যমিক) ছাত্ররা।   

3/5

শনিবার অন্যরকম একটা দিন উপহার দিতে গঙ্গানগরের কাছে 'আশিয়ানা হ্যাপি হোম'-এ পৌঁছে গিয়েছিল টিম সংকল্প। তবে খুদেরাও কিন্তু দাদা-দিদিদের স্বাগত জানাতে ত্রুটি রাখেনি বিন্দুমাত্র। হোমে ঢোকামাত্রই ওদের সমবেত কণ্ঠের 'ওয়েলকাম সং' মন ভাল করে দেবে যে কোনও মানুষের। এরপর গোটা দিন হাত ধোয়ার জল দেওয়া, খাবার এগিয়ে দেওয়া থেকে বাসন ধোয়া, সর্বস্ব সামাল দিয়েছে ছোট ছোট হাতই।   

4/5

সবমিলিয়ে প্রায় ১৮০ জন কচিকাঁচা রয়েছে এই এখানে।  কোচির এক খ্রিষ্টান দম্পতি এই হোমের দায়িত্বে রয়েছেন। আশিয়ানার খুদেদের পড়াশোনা থেকে খাওয়া-দাওয়া দেখাশোনা সব করেন ওঁরাই। চারহাত সবটা দিয়ে আগলে রেখেছে এই আশিয়ানাকে।   

5/5

দূষণের নয়, উৎসব হোক আলোর। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুরু থেকে এই বার্তাই দিয়ে এসেছে প্রশাসন। আর তেমনটাই তো হল, সংকল্পের দৌলতে খুদে মুখগুলোয় যে খুশির আলো ফুটলো তাতেই আরও বহুগুণ ঝলমলে হল দীপাবলি।