সুনিধি চৌহানের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে ভাঙছিল সোনুর
শুধু বলিউড তারকারাই নয়, বলিউড খ্যাতনামা গায়করাও নানান সময়ে বিভিন্ন কারণে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। সোনুর সঙ্গে করণ জোহরের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। তবে তাঁদের সেই বন্ধুত্বের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। করণের 'অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল' রণবীর কাপুর ও অনুষ্কা শর্মাকে মহম্মদ রফিকে নিয়ে মজা করতে দেখা যায়। আর এবিষয়টি নিয়ে করণ জোহরের উপর বেজায় বিরক্ত হন সোনু নিগম। সোনুর বলেন, '' তুমি যদি তোমার মা-বাবা সম্পর্কে এধরনের মাজা ঠাট্টা শোনো তাহলে কি তোমার শুনতে ভালো লাগবে? তখন তো আমরা খারাপ হয়ে যাই। সেসব শুনে তোমার রক্ত গরম হয়। তাহলে আমার পিতৃ স্থানীয় কাউকে নিয়ে তুমি কিভাবে এধরেনের ঠাট্টা করতে পারো?'' আর সোনুুর এই মন্তব্যের পরই করণ জোহরও সাংবাদিক সম্মেলনে সোনুকে একহাত নেন।
শুধু বলিউড তারকারাই নয়, বলিউড খ্যাতনামা গায়করাও নানান সময়ে বিভিন্ন কারণে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ২০১৬ সালে একবার সোনু নিগম যাত্রীদের অনুরোধে বিমান সেবিকার ঘোষণা করার মাইক হাতে নিয়ে গান গাইতে শুরু করেন। সোনুর এই কাণ্ডে যাত্রীরা খুশি হলেও বেসরকারি ওই বিমান সংস্থা ৫ জন বিমান সেবিকাকে কাজ থেকে বরখাস্ত করে। যা নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়।
২০০৫ সালে সোনুর বিবাহিত জীবনে সমস্যা দেখা দিয়ছিল। যার অন্যতম কারণ ছিল সোনুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। শোনা যায়, গায়িকা সুনিধি চৌহানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সোনু। যেকারণে সোনুর বিবাহিত জীবনে সমস্যা তৈরি হয়।
সুনিধি চৌহানের পাশাপাশি ২০০৫ সালে স্মিতা ঠাকরে সঙ্গেও সোনুর সম্পর্কের কথা শোনা গিয়েছিল। যিনি কিনার বলিউডের প্রযোজক তথা অভিনেত্রী। সোনুর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য স্বামী জয়দেব ঠাকরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও ভেবেছিলেন স্মিতা। শোনা যায়, এসব কারণেই সোনুর সঙ্গেও বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মধুরিমা। যদিও পরবর্তীকালে মধুরিমার সঙ্গে সোনু তাঁর সম্পর্ক ফের ঠিক করে নেন।
একসময় সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন সোনু। যেকারণে সোনু নিগম নাকি গান এক্কেবারে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যদিও পরবর্তীকালে সোনুর সঙ্গে তাঁদের সেই ঝামেলা মিটেও যায়।
'রাধে মা' যিনি সবসময়ই বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন, সেই রাধে মার সঙ্গে মা কালীর তুলনা টেলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সোনু নিগম। সোনু টুইটে লিখেছিলেন ''যে দেশে কালী মায়ের পুজো করা হয়, যিনি ন্যূনতম পোশাক পরে থাকেন, (সারাজীবন যা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা হয় না) সেই দেশ কীভাবে কারও পোশাক দিয়ে তার আধ্যাত্মিকতাকে প্রশ্ন করে! যে দেশে কুম্ভ মেলা উদযাপন করা হয় যেখানে হাজার হাজার নাগা সাধু ঘুরে বেড়ান, যেখানে দিগম্বর জৈনরা বিনা পোশাকে ঘুরে বেড়ান ধর্মীয় কারণে, সেই দেশ একজন মহিলা তার ব্যক্তিগত পরিসরে কী পোশাক পরছেন তা কীভাবে বিচার করে!"-আর সোনুর এই পোস্টের পড়েই তাঁর তীব্র সমালোচনা হয়।
সোনুর আজান বিতর্কের কথাও সকলের জানা। আজান নিয়ে বিরক্তি জানাতে গিয়ে সোনু প্রথমে ‘ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন’ লিখে শুরু করেছিলেন। কিন্তু, তারপরেই তিনি লেখেন, তিনি মুসলিম নন। অথচ প্রতি দিন সকালে আজানের আওয়াজে তাঁর ঘুম ভাঙে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘জোর করে এ ভাবে ধর্মের সশব্দ ঘোষণা এ দেশে কবে বন্ধ হবে?’ এখানেই সোনু থামেননি। মিনিট পাঁচেক পরের এক টুইটে লিখেছেন, ‘মহম্মদ যখন ইসলাম সৃষ্টি করেন, তখন তো বিদ্যুৎ ছিল না। তা হলে এখন এই চিত্কার-চ্যাঁচামেচি কেন সহ্য করতে হবে?’ আর তাঁর এই মন্তব্যের জেরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।