সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা, ভারতের হাতে সময় ৩০ দিন
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছাড়িয়েছে শতাধিক। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী কয়েক সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। Indian Council of Medical Research-এর ডিরেকটর জেনারেল বলরাম ভার্গবের অভিমত, ভারতে Covid-19 রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিরাই সংক্রমণ ছড়িয়েছেন এদেশে। সেখানে তাঁরা করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সরকার এই শৃঙ্খলটাই ভাঙতে চাইছে বা পরের ধাপে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি শ্লথ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
বলরাম ভার্গবের সতর্কবাণী, ভারতে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ধাপে পৌঁছবেই। কিন্তু সেই ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া শ্লথ হলে মোকাবিলার সময় পাওয়া যাবে। ভার্গবের কথায়,''ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে সমাজে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকাতে হাতে রয়েছে ৩০ দিনের সময়। ফলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।''
তৃতীয় ধাপে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। আর চতুর্থ ধাপে তা মহামারীর আকার নেয়। চিন ও ইতালি এখন রয়েছে ষষ্ঠ পর্যায়ে। এই তৃতীয় ধাপে যাতে ভারত না পৌঁছয়, তার চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তা সম্ভব না হলেও অন্তত সেই প্রক্রিয়া যাতে কিছুটা শ্লথ করা যায়, তাও দেখা হচ্ছে।
কীভাবে তৃতীয় ধাপে অগ্রসরের প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে সরকার? বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কোনও ব্যক্তির করোনা উপসর্গ বা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, রাখা হচ্ছে নজরদারিতে। জোরকদমে চলছে সচেতনতা প্রচার। হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়ানো, মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখার মতো বিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে জনসাধারণকে।
কিয়দংশ রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল,কলেজ,জিম,মাল্টিপ্লেক্স ও সিনেমাহল। বাড়ানো হয়েছে রক্ত পরীক্ষার পরিকাঠামো। ভারতে ৫১টি পরীক্ষাগারে প্রতিদিন ৪৫৯০টি নমুনা পরীক্ষা করার পরিকাঠামো রয়েছে। বর্তমানে তার ১.৩ শতাংশই ব্যবহার করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।