1/6
৩৫০ বছরের প্রাচীন
2/6
দুর্গামন্দির
এ বাড়িতে পুজোর সময় মা দুর্গার সামনে তাঁর নাম সংকীর্তন করেন জেলে সম্প্রদায়ের মানুষজন। লোকশ্রুতি-- তৎকালীন কাঁথির অনতিদূরে মশাগাঁ খাল পেরিয়ে রাতে মা আসছিলেন গড়ের পুজোয়। খাল পেরোনোর পরে এক জেলেকে নৌকাতেই ষোড়শী রূপে মা দেখা দেন। গল্পটা এরকম: মাঝি ছিলেন ধীবর নরোত্তম। ষোড়শী এক নারীকে খাল পার করানোর পরে নরোত্তম পয়সা চাইলেন। সম্ভবত সেই ষোড়শী পয়সা দিতে পারবেন না বলেছিলেন। কিন্তু গরিব জেলে দুটো পয়সার জন্য নাছোড়বান্দা। আর তখনই মা তাঁকে স্বরূপে দেখা দেন। নরোত্তমকে মা বললেন, কিশোরনগর গড়বাড়িতে দুর্গোৎসব হচ্ছে, সেখানে তুই আমার নাম সংকীর্তন করবি, অনেক টাকা পাবি। ধীবর মায়ের নির্দেশ শুনে বললে, আমি তো মূর্খ মানুষ, কী করে আমি তোমার নাম সংকীর্তন করব, মা! উত্তরে মা বলেন, তোর জিভে আমি চণ্ডীমঙ্গল কীর্তন লিখে দেব, তোর কোনও অসুবিধে হবে না। তারপর মা নরোত্তমের জিভে লিখে দেন চণ্ডীমঙ্গল।
photos
TRENDING NOW
3/6
মায়ের নাম সঙ্কীর্তন
প্রথম বাধা কাটল। যথাসময়ে নরোত্তম গেলেন মায়ের নাম সংকীর্তন করতে। কিন্তু সেখানে আবার বাধা। জেলেদের গান গাওয়ায় প্রবল আপত্তি রাজবাড়ির সদস্যদের। এর পরেই ঘটেছিল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। মন্দিরের পেছনে পশ্চিম দিক থেকে গান শুরু করে ধীবররা। লোকশ্রুতি-- মন্দিরের ঘট ঘুরে যায় পশ্চিম দিকে, আর সেই থেকেই কাঁথির গড়ের পুজোতে ঘট বসানো হয়ে আসছে পশ্চিমমুখেই। অন্য কোথাও পশ্চিমমুখী ঘটে মা পূজিতা হন না। আর তার পর থেকেই পুজোর সময় ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষেরাই এখানে বংশপরম্পরায় বরাবর মায়ের নাম সংকীর্তন করে আসছেন।
4/6
ঐতিহ্য
5/6
মহাপ্রসাদের বৈশিষ্ট্য
6/6
চণ্ডীমণ্ডপের চূড়া
photos