1/10
এক বিবিক্ত তরুণ হঠাত্ই তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। প্রকৃতির অকৃপণ মাধুর্যে ও নির্জনতায় আপ্লুত তাঁদের যৌথযাপন যেন কবিতার মতো স্নিগ্ধ আর মদিরার মতো উষ্ণ। এ কাহিনির দৃশ্যায়নে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। দৃশ্যায়ন? হ্যাঁ, দৃশ্যায়নই। ক্যামেরায় এ কবিতা রচনা করেছেন চলচ্চিত্র জগতের এক মহাকবি। ক্যামেরারচিত এই কাব্যটির নাম 'সামার উইথ মনিকা'।
2/10
সেই কবিরই রচিত আরও কয়েকটি ক্যামেরাকাব্যের নাম শুনলে পাঠক নিশ্চয়ই ধরতে পারবেন, কবিটির নাম--'দ্য সেভেন্থ সিল, 'ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ', 'থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি', 'উইন্টার লাইট', 'দ্য সায়লেন্স', 'ক্রাইস অ্যান্ড হুইস্পারস', 'অটাম সনাটা'! ভীষণ চেনা-চেনা লাগছে? হ্যাঁ, এই কবির নাম ইঙ্গমার বার্গম্যান। আজ, ১৪ জুলাই তাঁর জন্ম দিন। ঘটনাচক্রে এই মাসই তাঁর মৃত্যু-মাস।
photos
TRENDING NOW
3/10
4/10
সেরা না হয়ে যান-ই বা কী করে বার্গম্যান। সারা পৃথিবীতে এমন ক'জন চলচ্চিত্রকার আছেন, যাঁর এক-একটি ফিল্ম স্টিল এত চর্চিত, এত কথিত, এত ব্যাখ্যাত হয়! অথচ, বার্গম্যানের ক্ষেত্রে এটা প্রায়শই ঘটে। যেমন, 'দ্য সেভেন্থ সিল' ছবিতে সেই মৃত্যুর সঙ্গে দাবা খেলার দৃশ্য? বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা এ দৃশ্য দেখে স্তব্ধ, মুগ্ধ, বিস্মিত!
5/10
6/10
7/10
8/10
বার্গম্যানের ফিল্ম কেরিয়ার শুরু হয় ১৯৪১ সালে। ১৯৪৪ সালে 'টরমেন্ট' ছবির চিত্রনাট্য লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। 'সামার উইথ মনিকা' তাঁর প্রথম দিককার ছবি। এ ছবি পরে তাঁকে অনেক প্রশংসা এনে দিলেও সেই সময়ে বিশেষ সাড়া ফেলেনি। বার্গম্যানের প্রথম বড় সাফল্য 'স্মাইলস অফ আ সামার নাইট'। সারা বিশ্বের মানুষ তাঁর নাম জানে।
9/10
10/10
১৯৫৮ সালে বার্গম্যান 'ব্রিঙ্ক অফ লাইফ' ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান। ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজের জন্য গোল্ডেন বিয়ার পান। বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজ ফিল্ম ক্যাটেগরিতে তিনি তাঁর Through a Glass Darkly, The Virgin Spring, Fanny and Alexander-- এই তিন ছবির জন্য Academy Award পান। ২০০৩ সালেই তিনি কাজ থেকে অবসর নেন। ২০০৬ সালে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান।
photos