এই প্রথম জন্মাষ্টমীতে বন্ধ মায়াপুরে ইসকনের মন্দির
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৬৬ সালে তৈরি হয়েছিল মায়াপুর ইসকনের মন্দির। ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জন্মাষ্টমীতে বন্ধ ইসকনের মন্দির। এই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে দিনকয়েকের জন্য মন্দির খুলেও করোনা আবহে পুনরায় গত ৯ অগস্ট থেকে আগামী একমাসের জন্য ইসকনের মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ইসকনের মন্দিরে পুজো হয়। তবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষ-সহ আবাসিক ভক্তদের। প্রত্যেককেই ঘরে বসেই জন্মাষ্টমীর পুজো দেখেছেন অনলাইনের মাধ্যমে। শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকজন পুরোহিত মন্দিরে গিয়ে পুজো করার অনুমতি পেয়েছেন।
মায়াপুর ইসকনের অন্যতম আধিকারিক অলয় গোবিন্দ দাস জানান, "জন্মাষ্টমীর পুজো হয়েছে। কিন্তু করোনা আবহে এবার মন্দিরের পুজোর সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁরা ছাড়া কাউকে মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করা হয়েছে। দেশব্যাপী ভক্তদের এই জন্মাষ্টামীর পূজো দেখেছে অনলাইনে।"
এই কঠোর বিধিনিষেধের নেপথ্যে রয়েছে ইসকনের আবাসিকদের মধ্যে করোনার উপসর্গ। তাদের সমস্ত আবাসিক ভক্তদের মায়াপুর কমিউনিটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়। তাতে দেখা গেছে অধিকাংশ ভক্তের শরীরে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত তাঁদের আবাসিক ভক্তরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
তাই কোনভাবে ঝুঁকি নিতে নারাজ ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ। কারণ লকডাউন উঠে যাওয়াতে সবাই যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এর থেকেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাই সংক্রমণ ছড়ানোর আগেই পুনরায় মন্দির বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ১০৩ দিন বন্ধ থাকার পর মন্দির খোলায় আশার আলো দেখেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পুনরায় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ঘোরতর সমস্যার মধ্যে পড়েছে তাঁরা। মায়াপুর সম্পূর্ণ শুনশান। দোকান খুললেও দিনের খরচ উঠছে না। তাই বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।