Swami Gautamananda: কে এই স্বামী গৌতমানন্দ? জেনে নিন তাঁর বিপুল কর্মকাণ্ডের ইতিহাস...

Swami Gautamananda | Ramakrishna Math and Mission: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ। তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ অধ্যক্ষ ছিলেন। স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের দেহাবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষর দায়িত্বভার সামলান তিনি।

| Apr 24, 2024, 15:18 PM IST

দেবব্রত ঘোষ: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ হলেন অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ। তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ অধ্যক্ষ ছিলেন। স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের দেহাবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষর দায়িত্বভার নেন তিনি। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৬তম অধ্যক্ষ স্মরণানন্দজি মহারাজের দেহাবসানের পর অধ্যক্ষের পদটি শূন্য হয়েছিল। 

1/7

শতাব্দীপ্রাচীন

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনসূত্রে জানানো হয়েছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত এই শতাব্দীপ্রাচীন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকে না। 

2/7

নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচন

২৬ মার্চ প্রয়াত ষোড়শ অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টির দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, স্বামী স্মরণানন্দজির পর নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে আনুমানিক এক মাস লাগবে।

3/7

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে

সুবীরানন্দ মহারাজ আরও জানিয়েছিলেন, আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক সংঘ। পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন, তা অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি ঠিক করবে। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের কার্যভার সামলাচ্ছেন যেসব সন্ন্যাসী তাঁরা। তবে যতদিন না এই ভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরবর্তী অধ্যক্ষ নির্বাচিত হচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যক্ষের কাজ সামলেছেন গৌতমানন্দজিই।

4/7

পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

অবশেষে বুধবার বেলুড় মঠের তরফে মঠ-মিশনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বামী গৌতমানন্দের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বেলুড় মঠের তরফে জানানো হয়েছে, মঠের অছি পরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ স্বামী গৌতমানন্দজি মহারাজই। এবার তাঁকেই অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

5/7

মঠ ও মিশনে যোগ ১৯৫১ সালে

রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রের খবর, স্বামী গৌতমানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে। তিনি আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন স্বামী রঙ্গনাথানন্দজির কাছে। তিনি ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দজির কাছে সন্ন্যাসদীক্ষা নেন। 

6/7

শিক্ষা প্রসারের কাজে

স্বামী গৌতমানন্দ দীর্ঘদিন অরুণাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং নতুন দিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সংস্থায় সাধারণ ও এগজিকিউটিভ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। 

7/7

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আকর

স্বামী গৌতমানন্দ ১৯৯০ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৫ সালে চেন্নাই মঠের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার নেন। তিনি দেশে বহু ত্রাণ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আকর মনে করা হয় তাঁকে। দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শন বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন এক প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।