হু হু করে বাড়ছে দাম, Gas বাঁচানোর টিপস, মাসের শেষে বাড়তি টাকা হাতে
নিজস্ব প্রতিবেদন- মধঅযবিত্তের নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে গ্যাসের দাম। সংসার খরচের তাকে, রান্নাঘরের লুকনো কৌটোয় জমা রাখতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এর হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যদি ঠিকমত গ্যাস ব্যহার করতে পারেন। আসুন, কিছু টিপস সেয়ার করা যাক আপনাদের সঙ্গে।
১. ফ্রিজে রাখা দুধ গরম করার ঘণ্টাখানেক আগে বাইরে বার করে রেখে দিতে হবে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তবেই দুধ গরম করা ঠিক হবে।
২. একইরকম ভাবে ফ্রিজে রাখা সবজি, ফ্রোজেন ফুডও রান্না করার ১-২ ঘণ্টা আগে বার করে রাখা উচিত। রুম টেম্পারেচারে এসে যাওয়ার পর রান্না করল গ্যাস বাঁচবে।
৩. মনে রাখা দরকার, ঢাকা না দিয়ে রান্না করলে গ্যাস অনেক বেশি খরচ হয়। তাই খাবার ঢেকে রান্না করাই ভাল। এতে খাবারের পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।
৪. কড়াই বা প্যানে রান্না করার পরিবর্তে প্রেশার কুকারে রান্না করলে গ্যাসের সাশ্রয় হয়। কারণ প্রেশার কুকারে তাড়াতাড়ি রান্না হতে অনেক কম সময় লাগে।
৫. রান্নার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী জল ঢালতে হবে। বেশি জল ঢালার অর্থ, জল শুকোনোর জন্য বেশি গ্যাস খরচ। এছাড়া অনেক বেশি সময় ধরে রান্না করলে শাক-সবজির পুষ্টিকর উপাদানগুলিও নষ্ট হয়ে যায়।
৬. সবজি, ডাল ও মাংস সেদ্ধ করতে প্রচুর গ্যাস খরচ হয়। তাই মাংস মাইক্রোওয়েভে সেমি কুক করলে বেশ খানিকটা গ্যাস বাঁচানো যায়। গ্যাসের তুলনায় মাইক্রোওয়েভে মাংস অনেক তাড়াতাড়ি রান্না হয়।
৭. রান্না করার সময় মাঝারি আঁচ করে রাখা দরকার। কারণ বেশি আঁচে রান্না করলে খাবার পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আবার খুব কম আঁচে রান্না করলে বেশি গ্যাস খরচ হবে।
৮. রান্নার জন্য সঠিক সাইজের প্যান বা কড়াই ব্যবহার করা উচিত। ছোট সাইজের প্যান বা কড়াইয়ে রান্নার ফলে আঁচ বাইরে বেরিয়ে যায়। আবার বড় প্যান বা কড়াই ব্যবহার করলে, তা গরম হতে সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে বড় কড়াইয়ে রান্নার জন্য বেশি গ্যাস খরচ হবে। তাই পাত্রের সাইজ বেছে নেওয়া জরুরি।
৯. গ্যাস-বার্নার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বার্নার থেকে হলুদ রঙের শিখা বেরোলে বুঝতে হবে তা পরিষ্কার করার সময় হয়েছে।
১০. ঠিক ঠিক সময় অন্তর রেগুলেটার, পাইপ ও বার্নার চেক করাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যে গ্যাস লিক হচ্ছে কী না।