দৈত্যাকার তিমির পেট থেকে জীবন্ত বেরিয়ে এলেন এক মত্‍স্যজীবী!

| Jun 13, 2021, 19:02 PM IST
1/7

আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের একটি দ্বীপে এই ঘটনা। বছরছাপান্নের মৎস্যজীবী Michael Packard তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে সমুদ্রে চিংড়ি ধরতে নেমেছিলেন। 

2/7

মাইকেল আসলে প্রায়ই এভাবে সমুদ্রে নামেন। কেননা তিনি একজন lobster diver। মাইকেল একজন ডুবুরিও। গভীর জলে নেমে চিংড়ি ধরে থাকেন। ঘটনার দিনও তাই করছিলেন। 

3/7

কিন্তু সেদিন জলের নীচে হঠাত্‍ই সব অন্ধকার দেখেন মাইকেল। অনুভব করেন তীব্র ঝাঁকুনিও। মাইকেল সমুদ্রের যে-অঞ্চলে মাছ ধরছিলেন সেখানে হাঙরের আনাগোনা থাকেই। তাই প্রথমে মাইকেল ভেবেছিলেন, তিনি বোধ হয় হাঙরের খপ্পরেই পড়েছেন। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি বুঝতে পারেন, এ আর যাই হোক হাঙর নয়। কেননা, তাঁর শরীরে কোনও যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন না তিনি। এমনকি তাজ্জব যে, তখন তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসও চলছিল!

4/7

মুহূর্তখানেক পরে তিনি বোঝেন, তিনি এক দৈত্যাকার তিমির কবলেই পড়েছিলেন। 'বোঝেন', কেননা, ততক্ষণে তিনি তার কবল থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁকে ধরেছিল একটি হাম্পব্যাক তিমি (humpback whale)। বিপুল হাঁ করে তাঁকে গিলে নিয়েছিল তিমিটি। কিন্তু আস্ত মানুষ গিলতে না পেরে কয়েক মুহূর্ত পরই মাইকেলকে উগরে দেয় সে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ছাড়া আর কী!

5/7

তিমিটি মাইকেলকে উগরে দেওয়ার পরেই তিনি কোনও রকমে সাঁতার কেটে সহযোগীর কাছে পৌঁছন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অল্পবিস্তর ব্যথা ছাড়া তাঁর শরীরে তিনি তেমন কোনও সমস্যা অনুভব করেননি। একটু সুস্থ বোধ করার পরে হাসপাতাল থেকেই তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেন মাইকেল।   

6/7

সংবাদমাধ্যমেও মাইকেল ঘটনাটি জানান। তিনি বলছেন, মাছ ধরতে প্রায় ৪৫ ফুট নীচে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে মুখের মধ্যে পুরে নেয় তিমিটি। চোখের সামনে সব অন্ধকার দেখেন তিনি। প্রথমে হাঙর ভেবেছিলেন। পরে বোঝেন তিমি। তাঁকে গিলে নেওয়ারর চেষ্টা করছিল সেটি। ও ভাবে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মতো ছিলেন।

7/7

ম্যাসাচুসেটসের 'সেন্টার ফর কোস্টাল স্টাডিজে'র এক তিমি বিশেষজ্ঞ বলেন, এটা মোটেই কোনও অবিশ্বাস্য ব্যাপার নয়। তবে প্যাকার্ড সেদিন ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন। ভাগ্য ভাল বলে বেঁচে ফিরেছেন। জুক আরও জানান, খিদে মেটাতে হাঁ করে মাছের ঝাঁকের দিকে ছুটে যায় তিমি। তখনই একসঙ্গে অনেক মাছ ও জল তার মুখে ঢোকে। এর সঙ্গেই মাইকেলও ঢুকে গিয়েছিল হয়তো। হাঁ বড় হলেও হয়তো তিমির গলা সরু ছিল। তাই গিলতে না পেরে মাইকেলকে উগরে দেয় এটি।