kalipuja 2023: জিভ কাটেননি এই কালী, পদতলে তাঁর ইতালির শাঁখ! পায়ের নিচ থেকে শিব উধাও কেন?...

kalipuja in Bardhaman: ধর্মপ্রাণা স্ত্রীর মন জোগাতেই রাজা মহতাব চাঁদ রাজবাড়ির বর্ধমানের মিঠাপুকুর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভুবনেশ্বরী মন্দির। পরবর্তীতে এই মন্দিরেরই নামকরণ হয় 'সোনার কালীবাড়ি'।

| Nov 07, 2023, 14:41 PM IST

পার্থ চৌধুরী: ধর্মপ্রাণা স্ত্রীর মন জোগাতেই রাজা মহতাব চাঁদ রাজবাড়ির বর্ধমানের মিঠাপুকুর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভুবনেশ্বরী মন্দির। পরবর্তী কালে এই মন্দিরেরই নামকরণ হয় 'সোনার কালীবাড়ি'। বর্ধমান রাজপরিবারের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই সোনার কালীবাড়ি। ১৮৯৯ সালে এই সোনার কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠা হয়। ভক্তেরা এই কালীকে সোনারকালী বলে ডাকেন।

 

1/7

সোনার কালীবাড়ি

সোনার কালীবাড়ির দেবীর বিশেষত্ব হল, অন্যান্য কালীমূর্তির মতো তাঁর জিহ্বা বাইরে বের হয়ে থাকে না এবং তাঁর পায়ের নীচে মহাদেবকে পাওয়া যায় না। 

2/7

ইতালির শাঁখ

তার বদলে থাকে শাঁখ। ইতালির শাঁখ। যার শব্দে মুখরিত হয় গোটা কালীবাড়ির সন্ধ্যারতি। এই শঙ্খের আয়তন তাক লাগানোর মতো! প্রায় একহাত লম্বা!

3/7

ভয়ংকরা

কথিত আছে, মহারানি নারায়ণীদেবী সমুদ্রতট থেকে এই শঙ্খ সংগ্রহ করেছিলেন। অনেকে আবার বলেন, মহারাজ মহতাবচাঁদই শখ করে ইতালি থেকে অর্ডার দিয়ে আনিয়েছিলেন এই শঙ্খ।

4/7

প্রবেশপথে

সোনারকালী মন্দিরের প্রবেশপথের উঠোনে দুটো বড় পাতকুয়ো আছে। খরা এবং জলাভাবেও যা কখনও শুকোয় না। আজও এই মন্দিরের সমস্ত কাজকর্ম এই দুই কূপের জলেই হয়ে থাকে।

5/7

প্রাচীন নহবতখানা

মন্দিরের প্রবেশপথে আছে বহু প্রাচীন এক নহবতখানা। ইতিহাসবিদদের মতে, রাজা মহতাবচাঁদ ছিলেন অত্যন্ত আড়ম্বরপ্রিয়। নিত্যদিন বাজনা বসাতেন নহবতে। যেখানে থাকত নানা ধরনের বাজনা। কখনও বাজত প্রাচীন তুরহী, বাজত করনার সঙ্গে নরসিংঘা (শিঙা)। আর এসবের মিলিত শব্দ তৈরি করত এক অন্যরকম মাধুর্য।

6/7

পশুবলি বন্ধ

এই মন্দিরে প্রতিদিনই ভক্তরা আসেন। নিত্যপুজো হয়, সন্ধ্যারতি হয়, ভোগ বিতরণ হয়। কার্তিক অমাবস্যার কালীপুজোয় এখানে খিচুড়ি ভোগের সঙ্গে থাকে মাছের টক। পশুবলি বন্ধ। বদলে হয় চালকুমড়ো বলি।

7/7

বাহারি

শ্বেতপাথরের স্ফটিকের এই মন্দিরের দেওয়ালে বাহারি কারুকাজ আর নকশা খোদাই করা।