1/7
প্রিয়াঙ্কা দত্ত: করোনা, পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউন সবই চলছে, তারই মধ্যে অফিস আসতে হচ্ছিল তাঁকে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি প্রথম সারির যোদ্ধা নন বটে, তবে যে পেশার সঙ্গে যুক্ত, ঘরে থাকতে পারেননি তিনি। পেশায় সাংবাদিক, তাই সাংবাদিকতার টানে বাহিরমুখী মন। বাইরে বেরোতে হচ্ছিল। শরীর আনচান করা, মাথাব্যথা, দুর্বল ভাব লাগছিল বেশ কয়েকটা দিন ধরেই। তবে পেশার টানে তোয়াক্কা করেননি সেসবের। যখন সন্দেহ দানা বাঁধল পরীক্ষাটা করিয়েই নিলেন, পজেটিভ এল রিপোর্ট। তত্ক্ষণাত্ ভর্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ জি ২৪ ঘণ্টার করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক সেই প্রিয়াঙ্কা দত্ত যুদ্ধ জয় করে বাড়ি ফিরছেন। হাসপাতালের বেডে শুয়েও পেশার টানেই এই পরিস্থিতির খবর করলেন। করোনা বিভাগের এক্সক্লুসিভ ছবি প্রকাশ্যে এনে প্রমাণ করলেন ঠিক কতটা উন্নত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সা কাঠামো। যাঁরা সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, হয়তো এই ছবি দেখার পর দ্বিতীয়বার এই ভাবনা মনে আনবেন না।
2/7
photos
TRENDING NOW
3/7
এটা একটা সরকারি হাসপাতালের চিত্র? মন তো জাগবেই মনে। উত্তর একটাই হ্যাঁ! সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তোলেন, সপাটে মুখ বন্ধ করার ছবি এল প্রকাশ্যে। বিল্ডিংয়ের একেবারে নীচের তলায় রয়েছে আউটডোর, ফিভার ক্লিনিক এবং সোয়াব টেস্টের জায়গা। ২ এবং ৩ তলায় সিসিইউ, ৪ তলায় HDU, ৫, 6, ৭-এ জেনারেল ওয়ার্ড।বিল্ডিংয়ের ৯ তলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন বেশ কিছু চিকিত্সকও। সব মিলিয়ে দিনের ২৪ ঘণ্টাই চলছে জরুরি ভিত্তিক পরিষেবা।
4/7
এই মুহূর্তে মোট ৬৬১-টি বেড রয়েছে। ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৬০০ জন কোভিড পজিটিভ রোগী। সারাদিনে দফায় দফায় ভিজিটে আসছেন চিকিত্সক এবং জুনিয়ররা। রোগীর নাম ধরে সময় মতো নির্ধারিত ওষুধ এবং সঙ্গে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সুপার স্পেশালিটি ব্লক ছাড়া হাসপাতালের বাকি অংশেও চলছে করোনার চিকিৎসা।
5/7
এই বিশ্বমারীর দিনগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিজ্ঞতা কেমন? কোভিড ওয়ার্ডেরই এক নার্স উর্মিমালা দেবী বলছেন, "আমার ৫২ চলছে, তবে এই পরিস্থিতিতে আমাদের শারীরিক পরিস্থিতির কথা ভাবার সময় নেই, প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক এই পিপিই পরে থাকতে হয়, জল কম খাই পাছে সমস্যা বাড়ে। জ্যান্ত মানুষকে প্লাস্টিক মুড়ে রাখা যা আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। ৭দিন কাজের পর ৭দিন কোয়ারেন্টিনে। মেয়েকে ছুঁয়ে দেখিনি তাও ৪ মাস হল।"
6/7
7/7
photos