Mango Seed kernel: এবার আমের আঁটিই ধ্বংস করবে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া! অ্যান্টিবায়োটিকের জগতে যুগান্তর...
আমের আঁটির গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োজলি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপকেরা সাফল্য পেয়েছেন। আমের আঁটির নির্যাস থেকে নিষ্কাশিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যা সিন্থেটিক বা কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের বিকল্প হবে বলে দাবি।
রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আমের আঁটি থেকে একটি নির্যাস তৈরি করা হয়। ইঁদুরের উপর পরীক্ষার সময়ে দেখা গিয়েছে, এই নির্যাস একেবারেই বিষাক্ত নয়।
বেশি মাত্রায় এই নির্যাস প্রয়োগে ইঁদুরের লিভার ও কিডনিতে সামান্য পরিবর্তন দেখা গেলেও, উল্লেখযোগ্য কোনো খারাপ লক্ষণ দেখা যায়নি। ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত ইঁদুরের উপর এ নির্যাস প্রয়োগ করলে সংক্রমিত ইঁদুরগুলি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) একটি বড় ধরনের বিপদ। মানুষের পাশাপাশি প্রাণীর ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকই প্রধান ভরসা। অনেক ব্যাকটেরিয়াই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত সিন্থেটিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্টের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
আমে বিভিন্ন ধরনের ম্যাক্রো ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। আমের খোসা ও বীজের শাঁস ঔষধি গুণসম্পন্ন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তা ফেলে দেওয়া হয়। এবার থেকে তা কাজে লাগানো হবে।
এর আগে আমের খোসা ও পাতার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কার্যকারিতা নিয়ে কিছু গবেষণা হয়েছে। তবে আমের বীজের (আঁটি) কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা এর আগে সেভাবে কিছু মেলেনি।
(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)