CAT পরীক্ষায় ফেল, 'MBA চাওয়ালা' এখন কোটিপতি

Jan 04, 2021, 14:22 PM IST
1/17

নিজস্ব প্রতিবেদন: বারবার CATপরীক্ষায় ব্যর্থ। কিছুতেই সফল হতে পারছিলেন না তিনি। তাই ভাল চাকরি আর মোটা মাইনের আশা ছেড়ে দিয়ে চা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন মধ্যপ্রদেশের প্রফুল বিল্লোরে। 

2/17

ভারতের প্রথম সারির বিজনেস স্কুলে ভর্তির আশা নিয়ে বারবার CAT পরীক্ষা দিচ্ছিলেন প্রফুল। সেই মোতাবেক লেখাপড়া করছিলেন, কিন্তু প্রাণপণ চেষ্টা করেও লাভের লাভ হচ্ছিল না।     

3/17

এরপর আহমেদাবাদে MBA পড়ার নাম করে রাস্তার ধারে চা বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। যে দোকানের নাম দেন  ‘এমবিএ চাওয়ালা’। মোটা মাইনের চাকরি না পেলেও, চা বিক্রি করে বিরাট ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন প্রফুল। 

4/17

খাতায় কলমে ব্যবসা চালানোর পন্থা না পড়লেও, গায়ে গতরে খেটে নিজের ব্যবসা তৈরি করতে সফল প্রফুল। ২০১৪ সাল থেকে টানা তিন বার  CAT পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বারই তিনি ব্যর্থ হন।

5/17

বেকারত্ব ঘিরে ধরে তাঁকে। হতাশা কাটাতে বাবার থেকে টাকা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। মুছে ফেলেছিলেন এমবিএ পড়ার ইচ্ছা। 

6/17

এরপর তিনি রোজগার করবে বলে মনস্থির করেন।  ম্যাকডোনাল্ডের আউটলেটে কাজ পান। শুরু হয় উপার্জন। কিন্তু মনে শান্তি ছিল না। 

7/17

এরপর বাবাকে মিথ্যা কথা বলে, বাবার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেন। যে টাকায় কেটলি, কাপ, ট্রে এবং চা তৈরির সমস্ত কাঁচামাল কিনে পরদিন থেকেই রাস্তায় চা বিক্রি করতে শুরু করেন। 

8/17

প্রথমে গ্রাহক হয়নি। পরের দিনও দোকানে একটি মাছিও আসেনি। এরপর নিজেই কেটলি নিয়ে গ্রাহকদের কাছে চলে যান। তাদের থেকে অর্ডার নিয়ে পৌঁছে দিলেন চা।

9/17

ইংরেজি বলা সুন্দর দেখতে চাওয়ালার কদর করতে শুরু করল স্থানীয় বাসিন্দারা। শয়ে শয়ে চা খেতে আসে মানুষ। এরপর আসে হুমকি। পাশের দোকানের মালিকরা তাঁকে তুলে দেয় ওই জায়গা থেকে। 

10/17

 একরপর ক্রেতারাই তাঁর খোঁজ করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁকে খুঁজে আনেন। এরপর ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা চায় বাবার কাছে। কিন্তু বাবা জানতেন ছেলে এমবিএ পড়ছে। 

11/17

তাই দোকানের নাম দেন  ‘এমবিএ চাওয়ালা’। অনেকে প্রথমে ভাবতেন এমবিএ পাশ করে চা বিক্রি করছেন ওই যুবক। পরে তিনিই ক্রেতাদের কাছে তাঁর জীবনের ব্যর্থতার গল্প শোনায়। 

12/17

এখন তাঁর অধীনে ২০ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রফুল  এখন আইআইএম ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ব্যবসা চালানো ও মনোবল স্থির রাখার জন্য লেকচার দিতে যান।   

13/17

14/17

15/17

16/17

17/17