1/7
2/7
জানা গিয়েছে, ফাঁসির নির্দেশ কার্যকর করতে মেরঠ জেল থেকে পবন জল্লাদ নামে এক ফাঁসুড়েকে নিয়ে আসা হবে। যদিও তাঁর কাছে এখনও সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন পবন জল্লাদ। তবে, তিনি প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের মতো ঘৃণ্য কাজের জন্য কী শাস্তি হতে পারে, সমাজকে সেই বার্তা দেওয়া প্রয়োজন।
photos
TRENDING NOW
3/7
প্রসঙ্গত, ফাঁসুড়ে পরিবারের সন্তান পবন জল্লাদ। জানা গিয়েছে, পবন জল্লাদের ঠাকুরদাও ছিলেন একজন ফাঁসুড়ে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে কুখ্যাত সমাজবিরোধী রঙ্গা ও বিল্লারও ফাঁসি হয়েছিল পবন জল্লাদের ঠাকুরদার হাতে। এখন নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিয়ে দাদুর রেকর্ড ভাঙবেন পবন জল্লাদ।
4/7
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পবন জল্লাদ জানিয়েছেন, "ফাঁসির তারিখের ২ থেকে ৩ দিন আগেই আমি তিহাড় জেলে পৌঁছে যাব। প্রথমে ফাঁসিমঞ্চ ও ফাঁসির দড়ি পরীক্ষা করে দেখব। তারপর ৪ জনের ওজন পরীক্ষা করা হবে। তারপর বালির বস্তা দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি একেবারে হাতেকলমে পরীক্ষা করে দেখা হবে। ফাঁসির দিন জেলে সুপার, জেলার ও ডাক্তার উপস্থিত থাকবেন।"
5/7
6/7
এখন প্রশ্ন উঠছে, একসঙ্গেই কি ৪ জনের ফাঁসি কার্যকর হবে? তিহাড় জেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "সম্ভবত একসঙ্গেই ফাঁসি দেওয়া হবে ৪ জনকে। আর যদি এমনটা হয়, তাহলে এই প্রথমবার ৪ জনকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়ার ঘটনা ঘটবে।" তিনি আরও বলেনে, দোষী সাব্যস্ত মুকেশ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমারকে এখন আলাদা আলাদা সেলে রাখা হবে। অন্য কোনও বন্দির সঙ্গে তারা আর কথা বলতে পারবে না। একমাত্র পরিবারের লোকেরা চাইলে যেকোনও সময় তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে।
7/7
২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসের মধ্যে ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে ৬ জন। ১২ দিন ধরে যমে মানুষে টানাটানির পর ২৯ ডিসম্বের সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। অভিযুক্তদের ৬ জনের মধ্যে একজন বিচার চলাকালীন জেলেই আত্মহত্যা করে। অপর নাবালক অভিযুক্ত ৩ বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে বর্তমানে মুক্ত।
photos