রায়গঞ্জে সেলিম, মওকা বুঝে রবিবার দীপার সঙ্গে বৈঠকে মুকুল?

Mar 09, 2019, 23:12 PM IST
1/8

অঞ্জন রায়: রায়গঞ্জ আসনে কংগ্রেসের দাবি উড়িয়ে মহম্মদ সেলিমকেই প্রার্থী করেছে সিপিএম। সূত্রের খবর, এই সুযোগে দীপাকে ফোন করলেন মুকুল রায়।    

2/8

রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি নিয়ে চলছিল সিপিএম-কংগ্রেসের দড়ি টানাটানি। ওই দুটি আসন না পেলে কোনওভাবেই জোট হবে না বলে স্পষ্ট করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু শুক্রবার দুটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে সিপিএম। হাইকম্যান্ডের নির্দেশে ওই দুটি আসন শেষপর্যন্ত ছেড়ে দিচ্ছে প্রদেশ নেতৃত্ব। 

3/8

সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য গোঁ ধরে বসে আসেন প্রিয়রঞ্জন জায়া। গতবার ওই আসনে সেলিমের কাছে প্রায় ১৭০০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন দীপা। 

4/8

দীপা দাশমুন্সির যুক্তি, গতবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। এবার সিপিএমের তেমন সংগঠন নেই। জোট হলে প্রিয়রঞ্জন আবেগকে সঙ্গী করে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কিন্তু জেতা আসতে ছাড়তে চায়নি সিপিএম। আর রাহুলের নির্দেশে সেই দাবি থেকে সরে এসেছেন সোমেন মিত্ররা।

5/8

ফলে রায়গঞ্জ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে দীপার দাঁড়াবার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। সূত্রের খবর, এমন সুযোগ ছাড়তে নারাজ মুকুল রায়। দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে দীপাকে ফোন করেন বিজেপি নেতা। রবিবার দীপার সঙ্গে মুকুলের সাক্ষাত্ ঘিরে তাই তৈরি হয়েছে জল্পনা।

6/8

আর মুকুলের সঙ্গেই নয়, রায়গঞ্জ নিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস টানাপোড়েন চলার সময়েই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দীপার ফোনে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।     

7/8

দিল্লিতে শুধু দীপার সঙ্গে সাক্ষাত্ই নয়, রাতে অধীরের বাড়িতে নৈশভোজও সারবেন মুকুল রায়। লোকসভা ভোটের আগে আলাদা আলাদা করে প্রদেশ কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতানেত্রীর সঙ্গে মুকুলের সাক্ষাত্ নিয়ে নানা সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।   

8/8

এদিকে আবার সব্যসাচী দত্ত এদিন তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠকে হাজির হননি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, স্ত্রী অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। আর বাড়িতে ডেকে মুকুলকে লুচি-আলুর দম খাওয়ানোয় বিধাননগরের মেয়রের উপরে বেজায় চটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে রবিবার তৃণমূল কাউন্সিলরদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে খবর।