চা বাগান থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক অসুস্থ ময়ূর, সন্দেহের তীর কীটনাশকের দিকে
বেশ কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন চা বাগান এবং কৃষিজমি এলাকা থেকে মিলছে অসুস্থ ময়ূর। এই নিয়ে বেশ চিন্তিত পশুপ্রেমী থেকে বনকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে মালবাজার মহুকুমার ডামডিমের কুমলাই চাবাগান থেকে উদ্ধার হল একটি অসুস্থ ময়ূর।
এর আগে আগে মেটেলী নাগ্রাকাটা এলাকাতে অসুস্থ ময়ুরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার সকালে মালবাজারের তারঘেরা এলাকায় আরও দুটি পূর্ণবয়স্ক ময়ূর চা বাগানে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
স্থানীয়দের খবর পেয়ে প্রতিটি ময়ূরই মালবাজার ও তারঘেরা বন দফতরের কর্মীরা উদ্ধার করেন। অসুস্থ ময়ূরগুলির চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারঘেরা বন দফতরের আধিকারিক শুভজিত মৈত্র বলেন, "প্রয়োজনে লাটাগুড়ি এনআইসিতে নিয়ে গিয়ে ময়ূরগুলির চিকিত্সা করানো হবে।"
মালবাজার বন দফতরের রেঞ্জার বিভুতিভূষণ দাসের মতে, চা বাগানের কীটনাশকের ফলে যে পোকামাকড় মারা যায় সম্ভবত সেগুলি খেয়েই অসুস্থ হচ্ছে ময়ূরগুলি। এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
স্থানীয়দের দাবি, অসুস্থ ময়ূরগুলি কোনওভাবেই দাঁড়াতে পারছে না। প্রাথমিকভাবে ময়ূরগুলির সুশ্রষার চেষ্টা করা হলেও ময়ূরগুলির দেহের তাপমাত্রা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছিল। তারপরেই বন দফতরের হাতে ময়ূরগুলিকে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে একের পর এক ময়ূর অসুস্থ হয়ে পড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বন দফতর ও পরিবেশপ্রেমীদের।