পরিসংখ্যান দিয়ে সংসদে কর্মসংস্থানের হিসাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী

Feb 07, 2019, 20:08 PM IST
1/10

মোদীর জমানায় শিখর ছুঁয়েছে বেকারত্ব। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের রিপোর্ট বলছে, নোট বাতিলের পর দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। শেষ ১৯৭২-৭৩ সালে দেশের বেকারত্বের হার এত বেশি ছিল। ২০১১-১২ সালে দেশে বেকারত্বের হার সব থেকে কম ছিল ২.২ শতাংশ।সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০১৭-১৮ সালে দেশের যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৪ শতাংশ। যুবতীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ১৩.৬ শতাংশ। দেশের শিক্ষিত জনসংখ্যার মধ্যে ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার ছিল ১৫.২ শতাংশ। 

2/10

এই সমীক্ষাটি নিয়েই মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী খোঁচা, চাকরি কোথায়? বৃহস্পতিবার লোকসভায় ওই রিপোর্টি ফের তুলে ধরেন লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। নিজের জবাবি ভাষণে পাল্টা পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। 

3/10

নরেন্দ্র মোদীর কথায়,''৫৫ বছর শাসনের পর রোজগারের কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। ৭-৮ ক্ষেত্র নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। আজ সত্যি তুলে ধরব। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হয় ৮০-৯০ শতাংশ। সংগঠিত ক্ষেত্রে তা ১০-১৫ শতাংশ''। 

4/10

পরিসংখ্যান পেশ করে মোদী বলেন,''২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৮০ লক্ষ নতুন সদস্যের টাকা জমা পড়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশের বয়স ২৮ বছরের কম। অর্থাত্ তাঁরা নতুন চাকরি পেয়েছেন''। 

5/10

মোদী আরও বলেন, ''২০১৪ সালের মার্চে  ৬৫ লক্ষ লোক জাতীয় পেনশন প্রকল্পে রেজিস্ট্রিকৃত হয়েছিলেন। গতবছর তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ। কর্মসংস্থান ছাড়া এটা সম্ভব''!

6/10

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, প্রতিবছর কর দেন পেশাদাররা। তাঁরা মাইনে দিয়ে কর্মীও রাখেন। চারবছরে অতরিক্তি ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার পেশাদার করের আওতায় এসেছেন। ডাক্তাররা ক্লিনিক বা নার্সিংহোম খুললে অনেকেই কাজ পান''। 

7/10

মোদীর কথায়,''অসংগঠিত ক্ষেত্রে পরিবহণ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি রোজগারের সুযোগ রয়েছে। গত চারবছরে ৩৬ লক্ষ বড় ট্রাক ও বাণিজ্যিক যান বিক্রি হয়েছে। বিক্রিত হয়েছে ২৭ লক্ষের বেশি অটো। তাঁরা তো আর গাড়ি পার্কিং করে রাখেননি! সেগুলির সার্ভিসিংও করাতে হয়। পরিবহণ ক্ষেত্রে চারবছরে দেড় কোটি কর্ম সংস্থান হয়েছে''।

8/10

মোদীর বক্তব্য, অনুমোদিত হোটেলের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। দেড় কোটি নতুন চাকরি হয়েছে। অ্যাপ গাড়ি চালকহীন নয়। 

9/10

মোদীর দাবি, মুদ্রা প্রকল্পে প্রথমবার ঋণ পাওয়া লোকের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটির বেশি। নিজেরাই স্বনির্ভর হয়েছেন। কিন্তু এরা পরিসংখ্যানে নেই। 

10/10

মোদী আরও বলেন,''গ্রামীণ এলাকায় নতুন সার্ভিস সেন্টার খুলেছে। ৩-৪ জন কর্মী কাজ করেন। এসটিডি-র বুথ লাগলেও কর্মসংস্থান হত বলে কংগ্রেসি জমানায় দাবি করা হত। এভাবেই দেশে দ্বিগুণ গতিতে তৈরি হচ্ছে সড়ক। কোটি কোটি ঘর তৈরি হচ্ছে। এগুলি রোজগার দিচ্ছে। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে স্কিল ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ, মুদ্রার মতো প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্র''।