1/10
লক্ষ্মৌয়ে এক প্রোমোটারের কাছে ৫ লাখ তোলা চেয়েছিল এক দাগি অপরাধী। টাকাটা নিয়ে যেতে হবে নির্জন নীলমাথা এলাকার নির্মীয়মাণ এক বাড়িতে। সেই প্রোমোটারকে পাঁচ লাখের বদলে হাজার চল্লিশেক টাকা নিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক উচ্চপদস্থ পুলিস অফিসার। ভয়ে ভয়ে গেছিলেন প্রোমোটার। তখন সন্ধে নেমেছে। বাড়ির বাইরের রাস্তা দিয়ে একটি কনেযাত্রীর দল যাচ্ছিল। ছিল পালকি, বাজনদার। বহু লোক হাঁটছিলও। হঠাত্ই ওই বাড়ির ভিতর থেকে গুলির আওয়াজ এল আর পালকি থেকে রিভলভার হাতে লাফিয়ে রাস্তায় নামলেন বর-কনে। ওই বরযাত্রীদলের সঙ্গে যাঁরা হাঁটছিলেন তাঁদের মধ্যেই ছিলেন উচ্চপদস্থ ওই পুলিস অফিসার। তিনিও অস্ত্র বাগিয়ে রেডি। সকলে অতর্কিতে বাড়ির ভিতরে আক্রমণ চালাল। শুরু হয়ে গেল দুষ্কতীর দলের সঙ্গে পুলিসের এনকাউন্টার।
2/10
photos
TRENDING NOW
3/10
4/10
মেধাবী নভনীত ক্লাস টুয়েলভের পরে দিল্লির হংসরাজ কলেজে পড়তে গেলেন। বিএসসি-তে ভর্তি হবেন। ফর্ম নেওয়ার জন্য মার্কশিট বাড়িয়েছেন। কাউন্টারের ক্লার্ক চমকে উঠে কাউন্টার থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর নামধাম জিজ্ঞাসা করেন। তারপর ৫ টাকা তাঁর হাতে ধরিয়ে গ্রামে ফিরে যেতে বলেন। আসলে হিন্দি মিডিয়ামের গেঁয়ো ছেলের পক্ষে বিত্তবান বাড়ির ইংরেজিয়ানায় দুরস্ত ছেলেদের সঙ্গে পড়াটা কঠিন হবে ভেবে তিনি ছেলেটিকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলেটির মনে জ্বলে উঠেছিল আগুন।
5/10
6/10
দিল্লি আইআইটিতে থাকাকালীন একদিন সকালে বাবার ফোন এল। জমি দখলের মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পুলিস চৌকিতে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিস তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল। ব্যস এ পর্যন্ত শুনে সমস্ত সংকল্প লক্ষ্য বদলে গেল নভনীতের। এমটেক ছেড়ে গ্রামে ফিরলেন তিনি। শুরু করলেন ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি। দারুণ রেজাল্ট করলেন। হলেন আইপিএস। এরপর গ্রামে ফিরে বাবাকে নিয়ে গেলেন সেই পুলিস চৌকিতে যেখানে একদা ঘাড় ধাক্কা জুটেছিল বাবার। সেদিন মনমোহনকে যাঁরা অপমান করেছিল তারাই নভনীতকে দেখে স্যালুট ঠুকতে বাধ্য হল।
7/10
8/10
এ হেন নভনীত শুধু যে এই ধরনের অপরাধের বিহিতই করেন তা নয়। যে অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে নীরবে চলে আসছে সমাজে তা হল মেয়েদের উপর অত্যাচার। তার বিহিতও তিনি করেন। তিনিই প্রথম ভেবেছিলেন WOMEN POEWR LINE 1090-র মতো এক পরিকল্পনার কথা। সাফল্যও এসেছিল। মেয়েরা ধীরে ধীরে সাহস করে মুখ খুলছিল। আর নভনীতও পরের পর অ্যাকশন করে দমন করছিলেন অপরাধীদের। আস্তে আস্তে নভনীতের উপর ভরসা আসে মেয়েদের। তিনি বনে যান 'ভাইয়া'।
9/10
কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য নভনীত নানা সম্মান পেয়েছেন কর্মজীবন জুড়ে। তাঁর জীবন নিয়ে হয়েছে ওয়েব সিরিজ। কিন্তু নভনীতের জীবনে একটা উত্তরণ থেকে অন্য এক উত্তরণের দিকে যাওয়াটাই যেন স্বাভাবিক। তাই পুলিসের কাজ করতে করতেই এমবিএ করে নেন। ঝাঁপিয়ে পড়েন উওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে নিত্য নতুন পরিকল্পনায় ও কর্মযজ্ঞে।
10/10
২০২০ সালে এডিজি হয়েছিলেন নভনীত। মায়ের কাছে পদোন্নতির খবর দিতে এসে আবেগবিহ্বল নভনীত সেদিন বাবার জন্যও একরাশ দুঃখ অনুভব করেন। না, বাবাকে জানাতে পারেননি তাঁর এই পদোন্নতির কথা। বাবা যে ওই বছরেই কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। নভনীতের জীবনের সব চেয়ে প্রিয় মানুষ, প্রেরণার মানুষ, যাঁর একটা ফোন জীবনটাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন খাতে বইয়ে দিয়েছিল নভনীতের।
photos