ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঝাঁসির রানির আবেদনপত্র অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন মোদী
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইয়ের জীবনী অবলম্বনে কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি 'মণিকর্ণিকা' মুক্তি পেয়েছে সিলভারস্ক্রিনে। ছবিতে কঙ্গনার অভিনয় সমাদৃত হয়েছে সমালোচক মহলে। তবে ছবিটি মুক্তির সঙ্গে উঠে আসছে পুরনো কাসুন্দি।
১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন লক্ষ্মীবাই। তার ৩ বছর আগে ১৮৫৪ সালে অজি আইনজীবী জন ল্যাংয়ের মাধ্যম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে পিটিশন বা আবেদন লিখিয়েছিলেন ঝাঁসির রানি। সেই আবেদনপত্রটি অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়েছিলেন মোদী।
Doctrine of Lapse অর্থাত্ শাসকের উত্তরাধিকারী না থাকলে তা স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা হারায়। এই নীতির বিরুদ্ধে অস্ট্রেলীয় আইনজীবীকে দিয়ে আবেদন করেছিলেন লক্ষ্মীবাই।
রেডিফ আর্টিকলের দাবি, অজি আইনজীবী জন ল্যাং সাংবাদিকতা করতেন। Mofussilite নামে একটি শাসক বিরোধী পত্রিকা চালাতেন। চার্লস ডিকেনসের ম্যাগাজিন 'হাউসহোল্ড ওয়াল্ডর্স'-এও লিখেছিলেন ল্যাং।
এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর হয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা লড়ে জিতেছিলেন জন ল্যাং। ওই ব্যবসায়ী তখনকার দিনে ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত পেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই ল্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ঝাঁসির রানি। ওয়ান্ডারিং ইন্ডিয়া বইয়ে রানির সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কথা লিখে গিয়েছিন ল্যাং। সেখানে লেখা হয়েছে রানির সেই বিখ্যাত উক্তি, 'আমি ঝাঁসি দেব না'।
ল্যাংয়ের ওই আবেদনপত্রটি খারিজ করে দিয়েছিল তত্কালীন ব্রিটিশ শাসক। ২০১৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরে তত্কালীন অজি প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটের হাতে আবেদনপত্রটি তুলে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
আবেদনপত্রটি-সহ ল্যাংয়ের বিবাহের শংসাপত্র ও অন্যান্য নথি তুলে দিয়েছিলেন মোদী।
রেডিফ আর্টিকলের প্রতিবেদনের দাবি, মুসৌরিতে প্রায় ৫০ বছর আগে জন ল্যাংয়ের কবর খুঁজে বের করেছিলেন সাহিত্যিক রাস্কিন বন্ড। তখন অযত্নেই পড়েছিল ওই কবর। ল্যাংয়ের বইটি আবার প্রকাশের ব্যবস্থাও করেছিলেন বন্ড।