Rishrah Shootout: শুটআউটে অভিযুক্ত! গোঁফ পাকাতে পাকাতে বলল, `তৃণমূল করি`...
বিধান সরকার: শুটআউটে অভিযুক্ত। গোঁফ পাকাতে পাকাতে বলল, তৃণমূল করি। শুরু রাজনৈতিক তরজা। রিষড়া বাগখালে শুট আউটের ঘটনায় অভিযুক্ত রঞ্জন যাদবকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিস।
ধৃতকে আজ পাঠানো হয় শ্রীরামপুর আদালতে। উত্তরপাড়া থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে নির্বিকার দেখা যায় তাকে। গোঁফ পাকাতে পাকাতে রঞ্জন দাবি করে সে তৃণমূল কর্মী। শামসুদ্দিন তার মাকে মারধোর করেছিল এক বছর আগে। সেই রাগে সে গুলি করেছে।
অভিযুক্তের বাবা এক সময় শামসুদ্দিনের গাড়ি চালাত। শামসুদ্দিনের ভাই মহম্মদ নসরত বলেন, ওর মাথায় হাত আছে তৃণমূলের। এই ঘটনার ঠিক মতো অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায়ীর বন্ধু আফতাব আলম বলেন, আগে বজরং দল করত অভিযুক্ত। গত বছর ডিসেম্বর মাসে মারামারি করে জেলও খাটে। নিশ্চয়ই কেউ ওর পিছনে আছে, না হলে আগ্নেয়াস্ত্র পেল কীভাবে।
বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন,তৃণমূল এইসব সমাজ বিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়, আশ্রয় দেয়। ভোট লোড রিগিং করার জন্য এই ধরনের লোকেদের দরকার। ওদিকে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, এইসব কথা যারা হেরে যায় তারা বলে। আমাদের এখানে কিছুদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। এই অভিযোগ কেউ করতে পারেনি।
আরও বলেন, অভিযুক্ত তৃণমূল করে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সর্বৈব মিথ্যা। এই ধরনের সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি অভিযুক্ত বজরং দলের সদস্য। যে বজরং দল করে, সে আবার তৃণমূল করতে পারে নাকি? এসব বিজেপির সাজানো গল্প।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে বাগখালে এক ব্যাক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন পরিবহন ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন আনসারী। হঠাৎ তাঁর মাথায় গুলি করে রঞ্জন যাদব। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার মল্লিক বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও, এখনও সংকট কাটেনি ব্যবসায়ীর।