Hima Rock Art: এই পাথরে ছবি এঁকে রেখে যেত অতীতের মুগ্ধ ক্যারাভান

| Aug 04, 2021, 23:51 PM IST
1/8

ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় উঠল সৌদি আরবের Hima Rock Art এলাকা। এর আগে সৌদি আরবের পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে UNESCO। এই নিয়ে ষষ্ঠ। 

2/8

একদা বাঙালি কবির কলমে লেখা হয়েছিল-- 'যদি পাথরে লেখো নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে'র মতো লাইন। কিন্তু সেই ক্ষয়িষ্ণু 'পাথর'ই সৌদিকে তার ষষ্ঠ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি এনে দিল। হিমা পাথুরে শৈল্পিক এলাকা হয়ে গেল অন্যতম UNESCO World Heritage Site। 

3/8

সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই হিমা শিলালিপি এলাকা। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাথর-শিল্প অঞ্চলও। সৌদি আরবকে অভিনন্দন জানিয়ে ইউনেসকোর ঘোষণায় বলা হয়েছে-- বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় নতুন একটি স্থান যুক্ত হল: সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিমা। প্রসঙ্গত, এলাকাটির আয়তন প্রায় ৫৫৭ বর্গকিলোমিটার (২১৫ বর্গমাইল)।

4/8

হিমায় ৩৪টির বেশি জায়গায় পাথর-শিল্প ও পাথুরে কূপ রয়েছে। প্রাচীন আরবদের ক্যারাভান যেত এ পথে। সেই খর্জুরবীথি, সেই উটের দীর্ঘ ছায়া, সেই উষ্ণ রুক্ষ বাতাসমথিত উদাত্ত রৌদ্রময় প্রান্তরের সুদূর গন্ধ যেন আজও ধরে রেখেছে জায়গাটি। জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চল থেকে পবিত্র হজ ও ব্যবসার উদ্দেশে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরাই মূলত ব্যবহার করতেন পথটি।

5/8

ইউনেসকোর স্বীকৃতির খবর শুনে সৌদি আরবের সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রিন্স বদর বিন আবদুল্লাহ বিন ফারহান আল সৌদ ইউনেসকোর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

6/8

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বিভিন্ন সময়ে যাঁরা এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেছেন, তাঁরাই এখানে পাথরের দেওয়ালগাত্রে এঁকে রেখে গিয়েছেন শিকারের দৃশ্য, বন্য প্রাণী, গাছপালা বা বিভিন্ন প্রতীক এবং সেই সময়ে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জামের ছবি। শুধু ছবি-প্রতীক নয়, অসংখ্য শিলালিপিও এখানকার এক উল্লেখযোগ্য বিষয়। 

7/8

এখানকার পাথুরে কূপগুলো প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো। সেই সময়ে এসব কূপ নজরান প্রদেশের (Najran province) বিস্তীর্ণ মরু এলাকায় সুপেয় জলের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হত। আশ্চর্যের, কূপগুলি এখনও পানীয় জলের জোগান দিচ্ছে।

8/8

পাথরেও ফোটে ফুল! পাথরও কথা বলে। পাথরের মধ্যে দিয়ে আসলে অতীত কথা বলে ওঠে। পাথরের বুকে ফুটে-ওঠা হারানো কোনও স্বর্ণদিনের ফুলদল হয়তো এখন তার নিজস্ব দিনের গন্ধ হারিয়েছে কিন্তু শুকনো পাপড়ির মতো রয়ে গিয়েছে তার ভঙ্গুর ছাপ, তার নিবিড় অস্তিত্ব। হিমা তেমনই এক জায়গা। যেখানে আজও ইতিহাস কথা বলে। যেখানে ইতিহাসের সোনার দিনের শুকনো পাপড়ির ছায়া ও ছাপ আজও মন খারাপ করে দেয়।