Russia-Ukraine War: দেখে নিন ইউক্রেন ও রাশিয়া কী সব ভয়ঙ্কর অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে নেমেছে!
যুদ্ধে ইদানীং নানা নতুন ও অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এক একটি অস্ত্রের এক এক রকম ব্যবহার, এক এক রকম মারণশক্তি, এক এক রকম প্রযুক্তি। ফলে সে সব নিয়ে মানুষের নানা আগ্রহ। এ নিয়ে চর্চাও আজকাল সর্বস্তরে ঘটে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নানা কিসিমের অস্ত্রের ঝনঝনানি।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। বিশ্বে যত অস্ত্র বিক্রি হয়, তার প্রায় ২০ শতাংশই রাশিয়ার। যুদ্ধবিমান, ইঞ্জিন, ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা-সহ অনেক ধরনের অস্ত্র বিক্রি করে রাশিয়া। অস্ত্রাগারে থাকা সোভিয়েত আমলের অস্ত্রের আধুনিকায়নও করেছে তারা। অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারও করছে। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো মূলত নিজেদের তৈরি অস্ত্রই ব্যবহার করছে। রাশিয়ার তুলনায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম। ইউক্রেনের অস্ত্রাগারে থাকা অস্ত্রের বেশির ভাগ পশ্চিমাদের দেওয়া।
৯কে৭২০ ইসকান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
![৯কে৭২০ ইসকান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368546-iskander-missile.jpg)
প্রথমে দেখে নেওয়া যাক রুশ সামরিক বাহিনী কীরকম অস্ত্র ব্যবহার করছে। তাদের নিজেদের তৈরি ইসকান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। স্বল্প পাল্লার হলেও রাশিয়ার শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ইসকান্দার নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া কয়েকশো ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাশিয়ার ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলিই ইউক্রেনের বাড়িঘর, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আঘাত হেনেছে এবং এতে সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
৩এম-১৪ কালিবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র
![৩এম-১৪ কালিবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368545-kalibar.jpg)
TRENDING NOW
টিওএস-১ বুরাটিনো
![টিওএস-১ বুরাটিনো](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368544-buratino.jpg)
সোভিয়েত আমলে তৈরি রাশিয়ার টিওএস-১ হল প্রাণঘাতী এক অস্ত্র। বুরাটিনো নামের এই অস্ত্র থেকে মূলত আগুনের গোলা বেরয়। এ জন্য এর নাম হেভি ফ্লেম থ্রোয়ার। সর্বোচ্চ ছ' কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এটি আঘাত হানতে পারে। এতে অনেকগুলি রকেটও থাকে। অক্সিজেন ব্যবহার করে উচ্চমাত্রার বিস্ফোরণে এটি ব্যবহার করা হয়। রাশিয়ার সবচেয়ে বিধ্বংসী অস্ত্রের মধ্যে টিএওস-১ একটি।
টি-৯০ এবং টি-৭২ বিএম৩ ট্যাঙ্ক
![টি-৯০ এবং টি-৭২ বিএম৩ ট্যাঙ্ক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368543-t-90t-72.jpg)
বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন
![বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368542-tb-2-drone.jpg)
এবার দেখা যাক ইউক্রেন কী কী অস্ত্র ব্যবহার করছে। রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অবশ্য অনেক কম অধুনিক, বৈচিত্রেও অনেক কম। ইউক্রেনের অস্ত্রাগারে থাকা অস্ত্রের বেশিরভাগই পশ্চিমিদের দেওয়া। আকাশপথে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে তুরস্কের তৈরি বায়রাক্তার ড্রোন। রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইউক্রেনের সর্বত্র এই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক এই ড্রোনকে 'কিলার ড্রোন' বলে।
এফজিএম-১৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র
![এফজিএম-১৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368541-fgm.jpg)
নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন
![নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368540-nlaw.jpg)
নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন বা 'এনএলএডব্লিউ' হালকা বহনযোগ্য ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এক অস্ত্র। সর্বোচ্চ ৮০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। পদাতিক বাহিনী যাতে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে এগোতে পারে, মূলত এমন লক্ষ্য থেকেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এটি ব্রিটেনের অস্ত্র। ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর পর রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র-সহায়তা হিসেবে কয়েকশো এনএলএডব্লিউ দিয়েছে তারা।
স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র
![স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/21/368539-stinger.jpg)