প্রথম রঙিন বাংলা ছবি `কাঞ্চনজঙ্ঘা` বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়
সত্যজিৎ রায়, কালজয়ী এই পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার, লেখক, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকারের জন্ম হয়েছিল ১৯২১ সালের ২ মে। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল তাঁর প্রয়াণ হয়। আজ তাঁর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই কালজয়ী ব্যক্তিত্বের সম্পর্কে অনেক তথ্যই হয়ত আমাদের এখনও অজানা।
শুধু সিনেমাপ্রেমীরাই নন, সত্যজিৎ রায়ের গুণমুগ্ধ ছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, লেখিকা ম্যারি সিটন। পথের পাঁচালীর দেখার পর ১৯৪৭ সালে তৈরি হওয়া কলকাতা ফিল্ম সোসাইটিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেন ইন্দিরা গান্ধী। সত্যজিৎ রায়ের জীবনীগ্রন্থ লেখেন লেখিকা ম্যারি সিটন, যার নাম 'পোট্রেট অফ অ্যা ডিরেক্টর' (১৯৭১ সালে প্রকাশিত হয়)
খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সহ-সভাপতি পদে যোগ দেন ইন্দিরা গান্ধী, কারণ সেসময় ফিল্ম সেসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ছিলেন সত্যজিৎ রায়।
মাত্র ১০ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল এই খ্যতনামা পরিচালকের। শান্তিনিকেতনেমর পৌষমেলায় ছেলেকে কবিগুরুর সঙ্গে দেখা করানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন সুপ্রভা রায়।
১৯৫৫ সালে পথের পাঁচালী বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। যে জন্য তাঁর ঝুলিতে এসেছে ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ১৯৫৬ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান সত্যজিৎ রায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কাজ শুরু করছিলেন সত্যজিৎ রায়। জিম করবেটের 'ম্যান ইটারস অফ কুমায়ুন' ও জওহরলাল নেহেরুর লেখা ম্যান 'ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া'র কভার পেজ ডিজাইন করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
১ লক্ষ টাকারও কম বাজাটে বানিয়েছিলেন পথের পাঁচালি। ছবিটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৩ বছর।
প্রথন রঙিন বাংলা চলচ্চিত্র 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়।
আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক পুরস্কার পেয়েছিলেন সতঅযজিৎ রায়। ৩২ টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পেয়েছিলেন সাম্মনিক ডক্টরেট, যা তাঁর আগে একমাত্র চার্লি চ্যাপলিনই পেয়েছিলেন। ফ্রান্স সরকারের তরফে সেখানকার সর্বোচ্চ সম্মান লিজিয় দ্য'নর পান সত্যজিৎ রায়।
১৯৭৭ সালে হিন্দি ছবি সতরঞ্জ কি খিলাড়ি-র পরিচালক হিসাবে দেখা যায় সত্যজিৎ রায়কে।