Umran Malik: বিশ্বের গতির রাজাদের তালিকায় কত নম্বরে রয়েছেন 'শ্রীনগর এক্সপ্রেস'? ছবিতে দেখুন
গতির রাজাদের এই দৌড়ে কত নম্বরে রয়েছেন উমরান মালিক? ছবিতে দেখে নিন সেই তালিকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইপিএল-এর মঞ্চে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে শুরু হয়েছিল যাত্রা। বল হাতে আগুন ঝরিয়ে এখন উমরান মালিক, বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। সদ্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া 'শ্রীনগর এক্সপ্রেস' এই মুহূর্তে ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে ক্রিকেট দুনিয়ায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু গতির রাজাদের এই দৌড়ে কত নম্বরে রয়েছেন উমরান? ছবিতে দেখে নিন সেই তালিকা।
1/10
শোয়েব আখতার, পাকিস্তান (১৬১.৩ কিমি)
2/10
শন টেট, অস্ট্রেলিয়া (১৬১.১ কিমি)
আবির্ভাবেই গতি দেখিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন এই জোরে বোলার। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শন টেট। কিন্তু চোট ও বারবার ছন্দ হারানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া দলে তাঁর সফর বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬১.১ কিমি (১০০.১ মাইল) গতিবেগে ডেলিভারি করে ক্রেগ কিসওয়েটারকে আউট করেছিলেন তিনি। তবে দেশের হয়ে সব ফরম্যাটে মাত্র ৫৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন শন টেট। নিয়েছিলেন ৯৫টি উইকেট।
photos
TRENDING NOW
3/10
ব্রেট লি, অস্ট্রেলিয়া, (১৬১.১ কিমি)
এই তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আর এক পেসার। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার জোড়া বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রেট লি। ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন এই 'স্পিডস্টার'। ২০০৫ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমেছিল অজি বাহিনী। সেই ম্যাচে ক্রেগ কামিংকে আউট করেছিলেন ব্রেট লি। সেই ডেলিভারির গতিবেগ ছিল ১৬১.১ কিমি (১০০.১ মাইল)। দেশের হয়ে মোট ৩২২টি ম্যাচে ৭০০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
4/10
জেফ থমসন, অস্ট্রেলিয়া, (১৬০.৬ কিমি)
এই তালিকার চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রবাদপ্রতিম জোরে বোলার জেফ থমসন। সাত ও আটের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলাররা দাপট দেখালেও, এই প্রাক্তন অজি পেসার নিজের আলাদা সুনাম অর্জন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে কেরিয়ারের সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করেছিলেন জেফ থমসন। পারথে আয়োজিত টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ১৬০.৬ কিমি (৯৯.৮ মাইল) গতিতে বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ মাথায় চাপিয়ে মোট ১০১টি ম্যাচে ২৫৫টি উইকেট নিয়েছিলেন জেফ থমসন।
5/10
মিচেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া, (১৬০.৪ কিমি)
বিশ্ব ক্রিকেটে মাত্র পাচজন বোলার ১৬০ কিলোমিটার কিংবা এর চেয়ে বেশি জোরে বল করেছেন। সেই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আর এক জোরে বোলার মিচেল স্টার্ক। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই কীর্তি গড়েছিলেন এই বাঁহাতি জোরে বোলার। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন রস টেলরকে আউট করে তিনি। ঘাতক ইয়র্কারের গতিবেগ ছিল ১৬০.৪ কিমি (৯৯.৭ মাইল)। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপ ছাড়াও আশেজ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন মিচেল স্টার্ক। দেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২১৯টি ম্যাচ খেলছেন স্টার্ক। নিয়েছেন মোট ৫৩৭ উইকেট।
6/10
অ্যান্ডি রবার্টস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৫৯.৫ কিমি)
সেই সাত ও আটের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগে তিনি ছিলেন অন্যতম কারিগর। তিনি এক ও অদ্বিতীয় অ্যান্ডি রবার্টস। বাকি তিন সতীর্থ পেসার ছিলেন জোয়েল গার্নার, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং। এই চারের দাপটে একটা সময় ভয়ে গুটিয়ে যেত বিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করেছিলেন অ্যান্ডি রবার্টস। গতিবেগ ছিল ১৫৯.৫ (৯৯.১ মাইল)। ৪৭টি টেস্টে ২০২ উইকেট ছাড়া একদিনের ক্রিকেটে ৫৬টি একদিনের ম্যাচে ৮৭টি উইকেট নিয়েছিলেন।
7/10
ফিডেল এডওয়ার্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৫৭.৭ কিমি)
গত কয়েক বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রত্যাশা অনুসারে পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তবে আগুনে পেসে সবার নজর কেড়েছেন ফিডেল এডওয়ার্ডস। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট চলার সময় ১৫৭.৭ কিমি (৯৭.৯ মাইল) গতিবেগে বল করেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩৬টি ম্যাচে মোট ২৪৫টি উইকেট নিয়েছিলেন ফিডেল এডওয়ার্ডস।
8/10
উমরান মালিক, ভারত (১৫৭ কিমি)
পঞ্চদশ আইপিএল-এ আগুনে গতির বোলিং করে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন 'শ্রীনগর এক্সপ্রেস'। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে চাপিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৫৭ কিমি (৯৭.৫ মাইল) গতিতে বল করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দারুণ বোলিং করে টিম ইন্ডিয়াকে সিরিজ জিতিয়েছেন এই তরুণ।
9/10
মিচেল জনসন, অস্ট্রেলিয়া (১৫৬.৮ কিমি)
২০১৩-১৪ মরসুমে অ্যাশেজ জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মিচেল জনসন। সেই সিরিজে ইংল্যান্ডকে একাহাতে চুনকাম করেছিলেন এই বাঁহাতি অজি জোরে বোলার। সেই সিরিজে ৩৭টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা হয়েছিলেন তিনি। মেলবোর্নে আয়োজিত হয়েছিল সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। সেই ম্যাচের তৃতীয় দিন ১৫৬.৮ কিমি (৯৭.৪ মাইল) গতিবেগে বল করেছিলেন মিচেল জনসন। অজিদের হয়ে মোট ২৫৬টি ম্যাচে ৫৯০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
10/10
মহম্মদ শামি, পাকিস্তান (১৫৬.৪ কিমি)
photos