Umran Malik: বিশ্বের গতির রাজাদের তালিকায় কত নম্বরে রয়েছেন 'শ্রীনগর এক্সপ্রেস'? ছবিতে দেখুন

গতির রাজাদের এই দৌড়ে কত নম্বরে রয়েছেন উমরান মালিক? ছবিতে দেখে নিন সেই তালিকা।    

| Jun 29, 2022, 21:08 PM IST

নিজস্ব প্রতিবেদন: আইপিএল-এর মঞ্চে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে শুরু হয়েছিল যাত্রা। বল হাতে আগুন ঝরিয়ে এখন উমরান মালিক, বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। সদ্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া 'শ্রীনগর এক্সপ্রেস' এই মুহূর্তে ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে ক্রিকেট দুনিয়ায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু গতির রাজাদের এই দৌড়ে কত নম্বরে রয়েছেন উমরান? ছবিতে দেখে নিন সেই তালিকা। 

1/10

শোয়েব আখতার, পাকিস্তান (১৬১.৩ কিমি)

Shoaib Akhtar

বল হাতে বাইশ গজে ঝড় তোলার ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছেন 'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস'। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬১.৩ কিমি (১০০.২ মাইল) গতিবেগে বল করে নিক নাইটের স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার। মোট ২২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে মোট ৪৪৪টি উইকেট নিয়েছিলেন শোয়েব। 

2/10

শন টেট, অস্ট্রেলিয়া (১৬১.১ কিমি)

Shaun Tait

আবির্ভাবেই গতি দেখিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন এই জোরে বোলার। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শন টেট। কিন্তু চোট ও বারবার ছন্দ হারানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া দলে তাঁর সফর বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬১.১ কিমি (১০০.১ মাইল) গতিবেগে ডেলিভারি করে ক্রেগ কিসওয়েটারকে আউট করেছিলেন তিনি। তবে দেশের হয়ে সব ফরম্যাটে মাত্র ৫৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন শন টেট। নিয়েছিলেন ৯৫টি উইকেট। 

3/10

ব্রেট লি, অস্ট্রেলিয়া, (১৬১.১ কিমি)

Brett Lee

এই তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আর এক পেসার। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার জোড়া বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রেট লি। ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন এই 'স্পিডস্টার'। ২০০৫ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমেছিল অজি বাহিনী। সেই ম্যাচে ক্রেগ কামিংকে আউট করেছিলেন ব্রেট লি। সেই ডেলিভারির গতিবেগ ছিল ১৬১.১ কিমি (১০০.১ মাইল)। দেশের হয়ে মোট ৩২২টি ম্যাচে ৭০০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। 

4/10

জেফ থমসন, অস্ট্রেলিয়া, (১৬০.৬ কিমি)

Jeff Thomson

এই তালিকার চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রবাদপ্রতিম জোরে বোলার জেফ থমসন। সাত ও আটের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলাররা দাপট দেখালেও, এই প্রাক্তন অজি পেসার নিজের আলাদা সুনাম অর্জন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে কেরিয়ারের সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করেছিলেন জেফ থমসন। পারথে আয়োজিত টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ১৬০.৬ কিমি (৯৯.৮ মাইল) গতিতে বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ মাথায় চাপিয়ে মোট ১০১টি ম্যাচে ২৫৫টি উইকেট নিয়েছিলেন জেফ থমসন। 

5/10

মিচেল স্টার্ক, অস্ট্রেলিয়া, (১৬০.৪ কিমি)

Mitchell Starc

বিশ্ব ক্রিকেটে মাত্র পাচজন বোলার ১৬০ কিলোমিটার কিংবা এর চেয়ে বেশি জোরে বল করেছেন। সেই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আর এক জোরে বোলার মিচেল স্টার্ক। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই কীর্তি গড়েছিলেন এই বাঁহাতি জোরে বোলার। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন রস টেলরকে আউট করে তিনি। ঘাতক ইয়র্কারের গতিবেগ ছিল ১৬০.৪ কিমি (৯৯.৭ মাইল)। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপ ছাড়াও আশেজ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন মিচেল স্টার্ক। দেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২১৯টি ম্যাচ খেলছেন স্টার্ক। নিয়েছেন মোট ৫৩৭ উইকেট। 

6/10

অ্যান্ডি রবার্টস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৫৯.৫ কিমি)

Andy Roberts

সেই সাত ও আটের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগে তিনি ছিলেন অন্যতম কারিগর। তিনি এক ও অদ্বিতীয় অ্যান্ডি রবার্টস। বাকি তিন সতীর্থ পেসার ছিলেন জোয়েল গার্নার, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং। এই চারের দাপটে একটা সময় ভয়ে গুটিয়ে যেত বিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করেছিলেন অ্যান্ডি রবার্টস। গতিবেগ ছিল ১৫৯.৫ (৯৯.১ মাইল)। ৪৭টি টেস্টে ২০২ উইকেট ছাড়া একদিনের ক্রিকেটে ৫৬টি একদিনের ম্যাচে ৮৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। 

7/10

ফিডেল এডওয়ার্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৫৭.৭ কিমি)

Fidel Edwards

গত কয়েক বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রত্যাশা অনুসারে পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তবে আগুনে পেসে সবার নজর কেড়েছেন ফিডেল এডওয়ার্ডস। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট চলার সময় ১৫৭.৭ কিমি (৯৭.৯ মাইল) গতিবেগে বল করেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩৬টি ম্যাচে মোট ২৪৫টি উইকেট নিয়েছিলেন ফিডেল এডওয়ার্ডস। 

8/10

উমরান মালিক, ভারত (১৫৭ কিমি)

Umran Malik

পঞ্চদশ আইপিএল-এ আগুনে গতির বোলিং করে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন 'শ্রীনগর এক্সপ্রেস'। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে চাপিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৫৭ কিমি (৯৭.৫ মাইল) গতিতে বল করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দারুণ বোলিং করে টিম ইন্ডিয়াকে সিরিজ জিতিয়েছেন এই তরুণ। 

9/10

মিচেল জনসন, অস্ট্রেলিয়া (১৫৬.৮ কিমি)

Mitchell Johnson

২০১৩-১৪ মরসুমে অ্যাশেজ জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মিচেল জনসন। সেই সিরিজে ইংল্যান্ডকে একাহাতে চুনকাম করেছিলেন এই বাঁহাতি অজি জোরে বোলার। সেই সিরিজে ৩৭টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা হয়েছিলেন তিনি। মেলবোর্নে আয়োজিত হয়েছিল সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। সেই ম্যাচের তৃতীয় দিন ১৫৬.৮ কিমি (৯৭.৪ মাইল) গতিবেগে বল করেছিলেন মিচেল জনসন। অজিদের হয়ে মোট ২৫৬টি ম্যাচে ৫৯০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।   

10/10

মহম্মদ শামি, পাকিস্তান (১৫৬.৪ কিমি)

Mohammad Sami

২০০৩ সালে শারজার মাঠে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের সবচেয়ে দ্রুত গতির বল করেছিলেন শোয়েব আখতারের সতীর্থ। তাঁর সেই বলে সাজঘরে ফিরেছিলেন ডাগ মারিলিয়ার। দেশের হয়ে মোট ১৩৬টি ম্যাচ খেলে ২২৭টি উইকেট নিয়েছেন এই প্রাক্তন জোরে বোলার।