1/6
গতি-মুক্তি
2/6
কৌতূহলী জনতা
হাওড়া থেকে হুগলি--এই রুটেই গড়িয়েছিল সেই চাকা। পুরো রেলপথের দু'ধারে সেদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছিলেন। সবাই এসেছিলেন অদ্ভুত ঘটনা দেখতে। লোহার চাকার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাবে রেলকামরা! সেদিন সকাল হওয়ার কিছু পরেই ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে এসেছিল এক অতিকায় যন্ত্রদানব। বিস্মিত সাধারণ মানুষ ভয়ে সরেও গেলেন অনেকটা দূরে। কৌতূহল, বিস্ময়, ভীতির মধ্যে দিয়ে সেদিন সূচিত হল ভারতীয় গণপরিবহণে এক যুগান্তকারী ঘটনা।
photos
TRENDING NOW
3/6
কু-উ-উ ঝিক ঝিক
4/6
প্রাচীন হাওড়া স্টেশন
5/6
ফরাসি উপনিবেশের স্টেশন
6/6
লৌহশকট
প্রথম প্রথম ভয় পেলেও ধীরে ধীরে যাত্রীসংখ্যা বাড়তে থাকল রেলে। ওই সময় রেলযাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে অক্ষয়কুমার দত্ত নামে এক ব্যক্তি একটি কুড়ি পাতার বইও লিখে ফেলেছিলেন। সেই বইতে ছিল যাত্রীদের প্রতি নানা উপদেশ। আখ্যাপত্রে লেখা ছিল:DIRECTIONS for A RAILWAY TRAVELLER। বাস্পীয় রথারোহীদিগের প্রতি উপদেশ অর্থাৎ যাঁহারা কলের গাড়ি আরোহণ করিয়া গমন করিবেন, তাঁহাদের তৎসংক্রান্ত বিঘ্ন নিবারণের উপায় প্রদর্শন। এই বইটিতেও সময়-সারণি ছিল। ছিল ভাড়ার বিবরণও। দূরত্ব দেওয়া ছিল মাইলে। হাওড়া থেকে রানিগঞ্জ যেতে মোট সময় লাগত তখন ৬ ঘণ্টা। মধ্যবর্তী ১২১ মাইলের মধ্যে ছিল ১৮টি স্টেশন।
photos