Congress-র বিপদের ত্রাতা, যাঁদের অভাব হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে 'Sonia-র দল'?

সংকট কংগ্রেসের অন্দরে নতুন না হলেও তাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার না থাকা এই দলের কাছে অবশ্যই নতুন।

| Oct 16, 2021, 18:01 PM IST

অনুষ্টুপ রায় বর্মণ: ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (NDA) কাছে কংগ্রেস (Congress) শুধুমাত্র ভারতীয় রাজনীতিতে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা হারিয়েছে তাই নয়, তারা তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেন্টার-লেফট কর্মসূচির আদর্শ বাহক হিসাবে অবস্থান ছেড়ে দিয়েছে অপেক্ষাকৃত নবীন আমি আদমি পার্টির (AAP) কাছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দ্বন্দে জর্জ্জরিত দেশের এই প্রাচীন পার্টিতে প্রায় রোজই কোনো না কোনো নেতা দলের বিরুদ্ধে অথবা নেতৃত্বের অভাবের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন এবং দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এই সংকট কংগ্রেসের অন্দরে নতুন না হলেও তাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার না থাকা এই দলের কাছে অবশ্যই নতুন। একসময়ে যে দলে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট করেছেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য প্রণব মুখার্জি অথবা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কামরাজের মতো নেতা সেখানে এই মুহূর্তে প্রতিদিন এই ক্রাইসিস ম্যানেজারের অভাবকেই কাজে লাগাচ্ছেন নতুন চাণক্য BJP-র অমিত শাহ। 

1/10

অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন যিনি

man made could do impossible

রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল, যিনি কোভিড ১৯-এ মারা গিয়েছেন, তাকে প্রায়ই কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কংগ্রেসের বিভিন্ন সংকটের সমাধানে আহমেদ প্যাটেলকে এগিয়ে দিয়েছেন পার্টি নেতৃত্ব। 

2/10

ত্রাতা

saviour

কংগ্রেসের এই বরিষ্ঠ নেতা বিভিন্ন সময়ে যে সমস্যাগুলির সমাধান করেছেন তার মধ্যে অন্যতম ২০২০ সালের জি২৩ সংকট সমাধান, সচিন পাইলটের কংগ্রেস বিরোধিতা, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের প্রায় অসম্ভব একটি জোটকে সাবলীলভাবে গঠন করা, ২০০৮ সালে মনমোহন সিংহের আস্থা ভোট এবং আরও অন্যান্য সমস্যা।

3/10

বাঙালির বুদ্ধি

intellect of bengali

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা মূলত বর্তমান সময়ের চানক্য নামেই পরিচিত। জাতীয় কংগ্রেসের বিভিন্ন কঠিন সময়ে বৈতরণী পার করার দায়িত্ব বর্তেছে তার উপরে।  একটা সময়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন যে তিনি হয়তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। অনেকেই সেই সময়ে মনে করেন রাহুল গান্ধীকে জায়গা করে দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়।

4/10

চাণক্য

chanakya

ইন্দিরা গান্ধী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন এবং তাকে পুত্রের মতো ভালবাসতেন। প্রণবও ইন্দিরা গান্ধীকে কখনও ছেড়ে যাননি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একজন যোদ্ধা যুদ্ধের সময় তার নেতাদের কখনও ছেড়ে যান না এবং আজীবন তিনি সেই নীতি অনুসরণ করেন।

5/10

সাম্প্রতিকতম নেতৃত্ব

latest leaders

কংগ্রেস দলের সিনিয়র নেতাদের মতে, ভেনুগোপাল গান্ধী পরিবারের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক এবং কর্ণাটক সঙ্কটে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং রাজ্যে তাদের বিরোধীদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র। বর্তমানে ভেনুগোপাল এআইসিসির (AICC) সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

6/10

গান্ধী পরিবারের বিস্বস্ত সৈনিকদলের অন্দরে রদবদল

gandhi family loyalist

পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের সমস্যার সময়ও পার্টির অন্দরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। রাহুল গান্ধী নিজে তাকে নির্বাচিত করেন এই পদে। ভেনুগোপাল কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করার পরপরই দলের এই পদে উন্নীত হন। 

7/10

দলের অন্দরে রদবদল

changes within the party

কামরাজ কংগ্রেসের অন্দরে অন্যতম একটি সমস্যার সমাধানে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। কংগ্রেস যখনই সমস্যায় পড়েছে তারা অতীতের সমাধান দেখে নতুন সমাধান খুঁজেছে। এই অতীত সমাধানের মধ্যে অন্যতম কামরাজ প্ল্যান। ৫৮ বছর আগে মাদ্রাজের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী কামরাজ কংগ্রেস এবং সরকারকে পুনরায় শক্তিশালী করার নীলনকশা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কাছে একটি প্রস্তাব দেন। কামরাজের প্রস্তাব অনুসারে, সরকারে থাকা নেতারা তাদের মন্ত্রীর দপ্তর ছেড়ে সাংগঠনিক কাজ শুরু করবেন, যখন সংগঠনের লোকেরা সরকারে যোগ দেবে।   

8/10

অতীতের শিক্ষা

teachings of history

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পতন এবং রাহুল গান্ধীর দলীয় প্রধান পদ থেকে পদত্যাগের পর থেকে কামরাজ পরিকল্পনা আবার আলোচনায় ফিরে এসেছে। এআইসিসি (AICC) রেজোলিউশন ১০ আগস্ট, ১৯৬৩-তে কামরাজ পরিকল্পনা অনুমোদন করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রজনী কোঠারী, ভারতে রাজনীতিতে লিখেছেন যে, "পরিকল্পনাটি একদিকে, প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে সরকারে ব্যাপকভাবে বদল করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে সরকারের সাথে দলীয় সংগঠনের সমান মর্যাদার নীতি নিশ্চিত করা হয়েছে”।

9/10

খালিস্তানের সমাধান

end of khalistani movement

সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় কংগ্রেসের একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে, খুব কমই এমন কয়েকজন রাজনীতিক ছিলেন যারা রায় এর মতো ভারতের ভাগ্য পরিবর্তনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি নকশালপন্থার অবসান ঘটান। 

10/10

পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লি

From West Bengal to Delhi

পাঞ্জাবের গভর্নর হিসেবে তিনি খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে মোর ঘুরিয়ে দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে, ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই, তিনি একটি ভাঙা সম্পর্ককে পুনরুদ্ধার করেন। আমেরিকানদের এটা বোঝাতে সাহায্য করেন যে গণতান্ত্রিক ভারত তাদের স্বাভাবিক মিত্র।