Rath Yatra 2022: রথের রশি টানতে তৈরি পুরী, ছবিতে জানুন অজানা কথা...
অয়ন ঘোষাল: রথ হল জয়ের প্রতীক। রথযাত্রা এক বিশেষ পূণ্য তিথি, এই তিথির মাধ্যমে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা নগর ভ্রমণ প্রচলিত আছে। কথিত রয়েছে, রথ দেখলে আধ্যাত্মিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, চিত্তশুদ্ধি ঘটে এমনকি রথ টানার সময় একজন যদি তা দাঁড়িয়ে দেখেন তাতে তাঁর অন্তরে থাকা সমস্ত পাপের মোচন ঘটে। শুক্রবার রথ যাত্রা।
রথযাত্রা ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ অনুযায়ী, সত্যযুগ থেকে চালু হয়েছে। কথিত রয়েছে, সেই সময় সেখানের রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম স্বপ্ন দেখেছিলেন, বিষ্ণু মন্দির তৈরি করার, মন্দির স্থাপন করে জগন্নাথ , বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি তৈরি ঘিরে বিশ্বকর্মাকে অসন্তুষ্ট করে ফেলেন ইন্দ্রদ্যুন্ম, সেই কারণেই দেবদেবীদের সম্পূর্ণ মূর্তি নির্মাণ না করেই চলে যেতে হয় বিশ্ব কর্মাকে।
কথিত রয়েছে, যে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথে চড়ে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে দেখতে যান জগন্নাথদেব। সেই উপলক্ষ্যে ওই তিথি মেনেই মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আয়োজন হয়। এই যাত্রাকেই রথ যাত্রা বলা হয়। এরপর সাত দিন পর মন্দির থেকে দেবতার ফেরার যাত্রাকে উল্টোরথ যাত্রা বলা হয়।
রথযাত্রা অত্যন্ত একটা পবিত্র দিন বলেই শাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে। রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে, সহজ কিছু টোটকার মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে জয় করে নিতে পারেন, কথিত রয়েছে, মনস্কামনা পূরণের জন্য ১১ রকমের ফল, ১১ রকমের মিষ্টি এবং ১১টি এক টাকার কয়েন একটি হলুদ কাপড়ে করে জগন্নাথদেবের আসনে রেখে দিতে হবে। বাড়িতে নারায়ণ থাকলে তার সামনেও এই ব্রত পালন করতে পারেন।
একটি পেতলের বাটিতে একটু আতপ চাল, দুটো কাঁচা হলুদ এবং ১ টাকার একটি কয়েন দিন। শাস্ত্রীয় মতে, তুলসী জগন্নাথদেবের সবচেয়ে প্রিয় তাই ১০৮টি তুলসী পাতা দিয়ে মালা তৈরি করুন, ১০৮টি পাতা না থাকলে ৫৪টি পাতা দিয়ে মালা তৈরি করতে পারেন। তবে তুলসি পাতা ফুটো করবেন না। তুলসি পাতার ডগাগুলিকে বেঁধে বেঁধে এই মালা তৈরি করতে হবে।
কথিত রয়েছে, রথযাত্রার দিনে মনস্কামনা পূরণের জন্য ১১ রকমের ফল, ১১ রকমের মিষ্টি এবং ১১টি এক টাকার কয়েন একটি হলুদ কাপড়ে করে জগন্নাথদেবের আসনে রেখে দিতে পারেন। মন করা হয় যে, রথের দিনে গাছ পোঁতা খুবই শুভ তাই এইদিন অবশ্যই গাছ লাগান যা পরিবেশের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়। দান করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিনও হয় না। তবে কথিত আছে, রথের দিন কিছু দান করলে তা অবশ্যই শুভ বলে মনে করা হয়।
শাস্ত্র মতে, রথযাত্রা উৎসবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেউ অংশ নিলে পূণ্যার্জন হয়,সারাজীবন জগন্নাথের আশীর্বাদ মেলে। রথযাত্রার পূণ্য লগ্নে অনেকেই গৃহ প্রবেশের অনুষ্ঠান করে, তাছাড়া বাড়িতে যাঁদের দুর্গাপুজো হয়, তাঁরাও এইদিনে খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠান করেন। শাস্ত্র মতে, রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে গঙ্গাস্নান করাকে শুভ বলে মনে করা হয়।