1/11
নাট্যাচার্য
2/11
ভাবুক
photos
TRENDING NOW
3/11
শিক্ষা ও দীক্ষা
তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর কলেজ জীবনের সহপাঠী পুরুষোত্তম লাল উৎপল দত্তকে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, 'Utpal was born brilliant'। কলেজে ঢোকার আগেই উৎপল হেগেল, মার্কস, এঙ্গেলস, ফয়েরবাখ, কান্ট, লেনিন পড়ে ফেলেছিলেন। আর তাঁর কলেজও তাঁকে পরে তাঁর এই পাঠাভ্যাসে রসদ জুগিয়েছে। উত্পল বলেছিলেন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের গ্রন্থাগার ছিল এক অমূল্য ভাণ্ডার। সেখানে স্তানিসলাভস্কি থেকে শেক্সপিয়র, দুনিয়ার সমস্ত জাঁদরেল নাট্য ব্যক্তিত্বের সম্পর্কিত বই তিনি গোগ্রাসে গিলেছেন।
4/11
যাত্রা হল শুরু
সুরটা অতএব বাঁধা হয়েই গিয়েছিল। অভিনয় যে করবেন, নাটকই যে করবেন তার প্রস্তুতি তো সেই কৈশোর থেকেই সাধা হচ্ছে। এবার প্রথম যৌবনে এসেই হাতে-কলমে কাজে নামা। বন্ধু প্রতাপ রায় এবং তিনি একটি নাট্যদল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। অবশেষে 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট' এবং 'ম্যাকবেথ' নাটকের কয়েকটি দৃশ্যে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেল তাঁদের নাট্যদল 'দ্য অ্যামেচার শেক্সপিয়ারিয়ানস'।
5/11
দলভুক্তি
এই সময় ইংল্যান্ডের নাট্য পরিচালক জেফ্রি কেন্ডাল তাঁর ভ্রাম্যমাণ নাট্যদল 'শেক্সপিয়ারিয়ানা' নিয়ে ভারত সফরে এলেন। ১৯৪৭ সালের ২২ ডিসেম্বর 'রিচার্ড দ্য থার্ড'-এ উৎপল দত্তর অভিনয় দেখে জেফ্রি কেন্ডাল তাঁকে 'শেক্সপিয়ারিয়ানা'-য় যোগ দেওয়ার আবেদন করেন। যোগ দিলেন তরুণ উত্পল। আর 'শেক্সপিয়ারিয়ানা'-য় যোগ দেওয়ার মাধ্যমেই উৎপলের পেশাদার নাট্যজীবনের শুরু।
6/11
একলব্য
এই সময়টাই উৎপলের শিক্ষানবিশিকাল। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে জেভিয়ার্স-সহ নানা জায়গায় 'শেক্সপিয়ারিয়ানা'র হয়ে অভিনয় শুরু করলেন উৎপল। তবে 'শেক্সপিয়ারিয়ানা'র সদস্য হলেও তাঁর তৈরি নাট্যদল 'দ্য অ্যামেচার শেক্সপিয়ারিয়ানস'ও ধারাবাহিকভাবে বার্নার্ড শ, শেরিডান, প্রিস্টলি, নোয়েল কাওয়ার্ডের নাটক প্রযোজনা করে গিয়েছে।
7/11
লোকনাট্যের পথে
১৯৪৯ সালে 'দ্য অ্যামেচার শেক্সপিয়ারিয়ানস' দলের নাম বদলে হয় 'কিউব'। ১৯৫০-এ ইউরোপ ও আমেরিকার গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আবারও নাম বদলে করেন 'লিটল থিয়েটার গ্রুপ'। ১৯৫২ সালে এই দলে যোগ দেন রবি ঘোষ, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বাংলা নাটকের দল হিসেবে 'এল টি জি' পাকাপাকি আত্মপ্রকাশ করল। প্রথম প্রোয়জনা ছিল হেনরিক ইবসেনের 'গোস্টস্'।
8/11
গিরীশ ঘোষ
গণনাট্য আন্দোলন ছিল মূলত রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন। মার্ক্সবাদ থেকে উত্সারিত এক ধারা যেখানে মঞ্চ হয়ে ওঠে কমিউনিকেশনের মাধ্যম। তবে নাট্যচিন্তা ও নাট্য শিল্পের বিষয়ে উৎপল গভীর ভাবে গিরীশ ঘোষ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তাঁর চেতনায় ছায়া ফেলেছিলেন মধুসূদন দত্তও। এবং এই ভাবে সমস্ত দিকের নানা প্রভাব আত্মস্থ করেই উত্পল অনন্য সব নাটক সৃষ্টি করে গিয়েছেন। তাঁর রচিত অভিনীত, প্রযোজিত নাটকের তালিকা দীর্ঘ। তার মধ্যে বিশিষ্ট কয়েকটি-- অঙ্গার (১৯৫৯), ফেরারী ফৌজ (১৯৬১), কল্লোল (১৯৬৫), হিম্মৎবাই (১৯৬৬), রাইফেল (১৯৬৮), মানুষের অধিকার (১৯৬৮), জালিয়ানওয়ালাবাগ (১৯৬৯), মাও-সে-তুং (১৯৭১), দুঃস্বপ্নের নগরী (১৯৭৪), টিনের তলোয়ার, ব্যারিকেড, মহাবিদ্রোহ, তিতুমির, দাঁড়াও পথিকবর।
9/11
বের্টোল্ট ব্রেখট
উৎপল দত্ত বাংলা পথনাটকের পথিকৃৎ। উত্পলের মতে-- পথনাটিকা সেই মাধ্যম যেখানে মেহনতি মানুষের রাজনৈতিক চেতনা ও অভিনেতার রাজনৈতিক উপলব্ধি এক হয়ে ফুটে ওঠে মঞ্চে। আসলে বের্টোল্ট ব্রেখটও ছিলেন তাঁর অন্যতম নাট্যগুরু। ব্রেখট যেমন নাটককে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন উত্পলও তেমন ভেবেছেন। ১৯৫২ সালের 'পাসপোর্ট' থেকে ১৯৯২ সালের 'সত্তরের দশক' পর্যন্ত চল্লিশ বছরে উৎপল মোট ২৫টি পথনাটক করেছিলেন কখনও কারখানার গেটে, কখনও নির্বাচনী জনসভায়, কখনও বন্দিমুক্তি আন্দোলনে উত্তাল বাংলার মাঠে-ময়দানে।
10/11
সত্যজিতের সঙ্গে
11/11
আগন্তুক
photos