Uttarakhand: দেহ মিলল ৯ দিন পরে! নির্জনে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ, পরে গলায় ওড়না জড়িয়ে...

Uttarakhand Nurse Raped Murdered: বিকৃতমনা পুরুষের মনোপরিবর্তন সম্ভবত কোনও দিনই হয় না! দেশ যখন আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদমুখর, সেই সময়েই কখনও বাংলার কোনও জেলায়, কখনও উত্তর প্রদেশের জেলায় সেই খুন-ধর্ষণ চলছেই।

| Aug 16, 2024, 12:15 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যাধিগ্রস্ত বিকৃতমনা পুরুষ যারা, তাদের মনোপরিবর্তন সম্ভবত কোনও দিন কোনও কিছুতেই হবে না! সারা দেশ যখন আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদমুখর, দেশে আন্দোলনের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে, ঠিক সেই সময়েই কখনও বাংলার কোনও জেলায়, কখনও উত্তর প্রদেশের জেলায় সেই ধর্ষণ, খুন চলছেই। এবার ৩৩ বছরের এক নার্সকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠল উত্তরাখণ্ডে। ৩০ জুলাই থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। 

1/6

রুদ্রপুরে

ঘটনাটি ঘটেছে উধম সিং নগর জেলার রুদ্রপুরে। পুলিস জানিয়েছে, এক বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর সঙ্গে জঘন্য এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্য়েই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিস।

2/6

মিসিং ডায়েরি

কী জানা গিয়েছে? ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই নির্যাতিতা থাকতেন উত্তর প্রদেশের বিলাসপুরে। সীমান্ত-অঞ্চল বিলাসপুর কলোনিতে তাঁর বাড়ি। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের এক বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো ৩০ জুলাইও হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন, অর্থাৎ, ৩১ জুলাই তাঁর বোন একটি মিসিং ডায়েরি করেন।

3/6

৯ দিন পরে

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নামে। এক সপ্তাহ পরে উত্তর প্রদেশের দিবদিবা গ্রামের এক ফাঁকা জমি থেকে ওই নার্সের দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।

4/6

খুন ও ধর্ষণ

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধর্মেন্দ্র নামে উত্তর প্রদেশের বেরেলির এক শ্রমিককে রাজস্থানের যোধপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসের দাবি, ৩০ জুলাই রাতে, হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে কোনও ভাবে প্রলুব্ধ করে ওই নার্সকে সেদিনই ধর্মেন্দ্র-ই এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। তারপর ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং সবশেষে তাঁর টাকা-গয়না-মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যায়।

5/6

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই

পুলিস জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই তারা সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই নার্স রুদ্রপুরের ইন্দ্র চক থেকে গাড়ি ধরেছিলেন। সেখান থেকে তাঁর সর্বশেষ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে পুলিস। আর তা করতে গিয়েই তারা ধর্মেন্দ্রকে দেখে। শুধু তাই নয়, ওই হারিয়ে-যাওয়া ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই শেষ পর্যন্ত পুলিস অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হয়।

6/6

এবং মোবাইল

চুরি যাওয়া ওই মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই অপরাধীর খোঁজ শুরু করে পুলিস। যা তাদের নিয়ে গিয়েছিল রাজস্থানের যোধপুরে। সেখান থেকেই ধর্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করে নেয় সে। তার বয়ান অনুযায়ী, ছিনতাই করার জন্যই সে নার্সের উপর হামলা চালিয়েছিল। ওই নার্সকে একটি খালি প্লটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা, গয়না ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালায় সে।