বেড়াতে যাবেন? উইকেন্ড ট্রিপ প্ল্যানের সঙ্গে কী কী কোভিড সংক্রান্ত কাগজ রাখবেন জেনে নিন

Jul 06, 2021, 18:01 PM IST
1/11

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দাপট কমে এসেছে, এমন সময়ে মনটা বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে?  চিকিৎসকদের মতে, এমন জায়গায় ঘুরতে যেতে হবে যেখানে ভিড় কম। পর্যটকের সংখ্যা হাতে গোনা থাকবে। এমন হলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন কোথায় যাবেন ঘুরতে? এই প্রতিবেদন আপনাকে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন করোনাবিধি। তবে সঙ্গে রাখতে হবে নেগেটিভ রিপোর্ট ও ভ্যাকসিনের শংসাপত্র। বেড়াতে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে RT-PCR রিপোর্ট করিয়ে নিতে হবে।  

2/11

সঙ্গে যদি করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট আর ভ্যাকসিনের শংসাপত্র থাকে তাহলে শাল, পিয়াল, সেগুনের ছায়ায় হারিয়ে যেতেই পারেন।  উইকএন্ডের দুটো দিনে জঙ্গলের শব্দ শুনতে চান? কিংবা জলাশয়ের মাঝে বোটিংয়ে প্রেমসফর? তাহলে আউশগ্রাম যেতে পারেন।হাওড়া থেকে ট্রেনে গেলে নামতে হবে গুসকরা স্টেশনে। স্টেশনের স্ট্যান্ড থেকে গাড়িতে ১৮ কিলোমিটার। রাস্তা ভাল। মসৃণ পথে ছুটবে গাড়ি। দুপাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য।

3/11

পায়ের তলায় ভেজা বালির ছোঁয়া আর নোনা ঢেউয়ের স্পর্শ পেতে অনেকেই ছুটে যান দীঘা কিংবা মন্দারমণি। তবে এই জায়গাগুলি বড্ড একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই উইকেন্ডে এক বা দেড় দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন সমুদ্র, ঝাউ আর ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অপরূপ মিশেল দেখতে হেনরি আইল্যান্ডে।

4/11

কলকাতা থেকে বেশি দূরেও নয় হেনরি আইল্যান্ড। নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়েই পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। হেনরি আইল্যান্ডে আপনি পাবেন ঝাউ আর ম্যানগ্রোভ অরণ্যের পাশাপাশি বিশাল সমুদ্র তটের অপরূপ মিশেল। লং ড্রাইভে যেতেই পারেন হেনরি আইল্যান্ড। এ ছাড়া ধর্মতলা থেকে প্রতিদিনই বাস ছাড়ে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী যাওয়ার। নদী পেরিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে কিংবা বকখালি থেকে ট্রেকারে পৌঁছে যাবেন হেনরি আইল্যান্ড।

5/11

চাইলে ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে পৌঁছাতে পারেন নামখানা। নামখানা থেকেই ট্রেকারে পৌঁছে যেতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড। তবে হেনরি আইল্যান্ডে রাত কাটানোর তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই আপনি থাকতে চাইলে আপনাকে থাকতে হবে বকখালিতেই। খরচ একেবারে নাগালের মধ্যেই। মাথাপিছু ২,০০০ টাকায় একদিনের ঘুরে আসতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড।

6/11

সিনেমার গল্প মনে হতে পারে। কারণ, ট্রি-হাউস অনেকেরই স্বপ্নের জায়গা। দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায় রয়েছে এরম ট্রি-হাউস। তবে যাওয়া হয়ে ওঠে না সবার। কখনও সময়ের অভাব, কখনও আবার সাধ্যে কুলোয় না। কিন্তু জানেন কি কলকাতার একেবারে কাছেই, আপনার সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে আপনার স্বপ্নের ট্রি-হাউস!

7/11

হ্যাঁ, কলকাতা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে রয়েছে আম, বাঁশ, তাল গাছ দিয়ে ঘেরা আরামবাগ ট্রি-হাউস। এখানে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ নৈস্বর্গিকতা। তার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে নাম না জানা হরেকরকম পাখির কলতান। একদিনের জন্য আপনি একেবারে পৌঁছে যেতে পারেন প্রকৃতির অন্দরমহলে।

8/11

 হাওড়া থেকে যে-কোনও ট্রেনে আরামবাগ রেল স্টেশন থেকে যে কোনও রিক্সা ভ্যান ধরে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন আরামবাগ ট্রি-হাউসে। আর তারপর সব দায়িত্ব আরামবাগ ট্রি-হাউসের। ওখানে গেলেই মিলবে একেবারে বাঙ্গালিয়ানার স্বাদ। বাঙ্গালি আমিষ ও নিরামিশ সমস্ত খাবারই পাওয়া যায় ট্রি-হাউসে।

9/11

সেই প্রাচীন কাল থেকেই পণ্য আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় হলদিয়া নৌবন্দর। পাম গাছ আর পাথর ঘেরা নদীপথ ধরে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে। কোস্ট গার্ড জেটিটি তাই এখানে খুব সুন্দর করে সাজানো। কলকাতা থেকে দূরত্ব ১১৭ কিমি। 

10/11

তালসারি ওড়িশার বালেশ্বর জেলার অর্ন্তভুক্ত। দীঘা থেকে দূরত্ব মাত্র ১০ কিমি। তালসারির প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোরম। তালসারি থেকে সূর্যাস্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে। নির্জনে নিভৃতে কটা দিন কাটাতে হলে অবশ্যই ঘুরে যান তালসারি থেকে। নারকেল আর কাজুর বাগানে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগবে। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৯১ কিমি।

11/11

কলকাতা থেকে পারাদ্বীপের দূরত্ব ৪৫১ কিমি। কটক থেকে ৯৪ কিমি। সমুদ্রতটের সোনালি বালিতে পথ ধরে হাঁটতে আর দিগন্ত রেখা ছুঁতে অবশ্যই ঘুরে আসুন পারাদ্বীপ থেকে। বহুদিনের পুরনো স্পট হলেও এখনও খুব একটা ট্যুরিস্ট অখানে আসেন না।