দুটি দামি গাড়ির ঋণ চোকাচ্ছেন, প্রায় ১ কোটির অস্থাবর সম্পত্তির মালিক Aditi Munshi
কীর্তন গায়িকা হিসাবেই তাঁর পরিচিতি। গত ৪ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন গায়িকা অদিতি মুন্সি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে ভোটেও লড়ছেন অদিতি। রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি।
রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভাকেন্দ্রে অদিতির প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য এবং সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী (CPIM) এর শুভজিৎ দাশগুপ্ত।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে নিয়ম মেনে হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ দাখিল করেছেন রাজাহাট গোপালপুরের প্রার্থী অদিতি মুন্সি। হলফনামায় অদিতি জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর উপার্জন ৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। তাঁর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর উপার্জন ছিল ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭ টাকা।
অদিতি জানিয়েছেন, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্বামী দেবরাজের হাতে আছে ৪৫ হাজার টাকা। অদিতির নামে ব্যাঙ্কে ২টি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার প্রথমটিতে রয়েছে ২ লক্ষ ২ হাজার ২৭২ টাকা ৪১ পয়সা এবং দ্বিতীয়টিতে রয়েছে ২০ লক্ষ ৭৭৩ টাকা ৬৭ পয়সা। SBI-এ ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫৪০ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে তাঁর।
হলফনামায় অদিতি জানিয়েছে তাঁর স্বামী দেবরাজের সেভিংস অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪৯ লক্ষ ৭৬৭ টাকা, কারেন্ট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬২ হাজার ৭৬ টাকা। শেয়ারবাজারে তাঁদের কোনও বিনিয়োগ নেই। তবে ১ লক্ষ এবং আড়াই লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমা রয়েছে অদিতির।
অদিতির দু’টি গাড়ি আছে। ২০১৬ সালে কেনা জাইলোর মূল্য ১৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৫৩ টাকা। ২০১৮তে কেনা ফরচুনার দাম ৩২ লক্ষ ৭৯ হাজার ২২২ টাকা। তবে ২টি গাড়ি কেনার ঋণ শোধ করছেন অদিতি। প্রথম ঋণের মধ্যে এখনও ৩৫ হাজার ৬৭৯ টাকা বাকি। দ্বিতীয় ঋণের ক্ষেত্রে বাকি আছে ১২ লক্ষ ৬ হাজার ৩৪৯ টাকা।
অদিতি ও তাঁর স্বামী দেবরাজের নামে কোনও কৃষিজমি, দোকানঘর, এমনকি নিজস্ব বাড়িও নেই। অদিতির মালিকানায় থাকা অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য ৭৫ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬১ টাকা। তাঁর স্বামী দেবরাজের নামে রয়েছে ২৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৪৩ টাকা মূল্য অস্থাবর সম্পত্তি। অদিতি-দেবরাজ, কারোর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তির কথা হলফনামায় উল্লেখ নেই।
অদিতির কাছে রয়েছে ৩৫০ গ্রাম সোনার গয়না। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। দেবরাজের কাছে রয়েছে ১৫০ গ্রাম সোনা। যার মূল্য ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
অদিতির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী কাউন্সিলর। তিনি বিধাননগর পুরসভা থেকে বেতন পান। পাশে, তাঁর একটি নির্মাণ সংস্থাও আছে।
২০১১ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কীর্তনে স্নাতকোত্তর করেন অদিতি মুন্সি। নিজের প্রতিষ্ঠানে গান শেখানো এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে গান করাকেই পেশা হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।