মারণরোগও হারাতে পারেনি, কলকাতায় জীবনের গল্প শোনাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়ী লুগানিস

| Dec 14, 2018, 19:04 PM IST
1/5

কলকাতায় ম্যারাথনের মুখ এবার লুগানিস

1

খবরটা এল আচমকাই। এবং অসময়ে। ওলিম্পিকের ডাইভিং বোর্ডে ওঠার ঠিক আগের মুহূর্তে জানতে পারলেন, শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণরোগ। এইচআইভি পজিটিভ তিনি। ক্ষণিকের জন্য পৃথিবী দুলে উঠেছিল। মাথা ঝিমঝিম করে উঠেছিল গ্রেগ লুগানিসের। ভেবেছিলেন, জীবন হয়তো এখানেই শেষ। এবার ঘরের খিল আটকে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। কিন্তু তিনি স্পোর্টসম্যান। আর পাঁচজনের থেকে তাঁর শারীরিক ও মানসিক জোর অবশ্যই একটু হলেও বেশি। 

2/5

কলকাতায় ম্যারাথনের মুখ এবার লুগানিস

2

৩০ বছর আগে কীভাবে নিজেকে উজ্জীবিত করেছিলেন। কীভাবে মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেওল ঘাবড়ে যাননি, সেসব গল্প শুনিয়ে গেলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ডাইভার গ্রেগ লুগানিস। সোল ওলিম্পিকে ডাইভ দেওয়ার সময় স্প্রিংবোর্ডে লেগে মাথা ফেটে যায় তাঁর। রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল পুলের জল। চারটে সেলাই পড়েছিল কাটা জায়গায়। তার পরও হার মানেননি তিনি। কোচ বলেছিলেন, চাইলে তিনি নাম তুলে নিতে পারেন! কিন্তু লুগানিস লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলনে। ফল, ওলিম্পিকে জোড়া সোনা। 

3/5

কলকাতায় ম্যারাথনের মুখ এবার লুগানিস

3

টাটা ২৫কে ম্যারাথনের প্রধান অতিথি হয়ে সেই বিখ্যাত ডাইভার গ্রেগ লুগানিস এখন কলকাতায়। জীবন-মৃত্যুর লড়াই জয়ের গল্প শোনাচ্ছেন। লুগানিস এবার পতাকা দেখিয়ে ম্যারাথনের সূচনা করবেন। তিনি জীবনের ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন। আর তাঁকে দেখেই ২৫কে ম্যারাথনের প্রতিযোগীরা যেন অনুপ্রেরণা জুগিয়ে নিচ্ছেন। লুগানিস বারবার বলে চলেছেন, খেলার মাঠ হোক বা জীবনের উঠোন, লড়াই ছাড়া গতি নেই। 

4/5

কলকাতায় ম্যারাথনের মুখ এবার লুগানিস

4

তাঁকে বলা হয় ওলিম্পিক ইতিহাসের সেরা ডাইভার। লুগানিসের ঝুলিতে রয়েছে চারটি ওলিম্পিক সোনা। ৫৮ বছর বয়সী মার্কিন ডাইভার কলকাতা ম্যারথনে অংশগ্রহণকারীদের কাছে অনুপ্রেরণা জোগানের আধার হয়ে উঠেছেন। 

5/5

কলকাতায় ম্যারাথনের মুখ এবার লুগানিস

5

নামের পাশে রয়েছে ১৭টি আন্তর্জাতিক পদক। ওলিম্পিকে চারটি সোনা ছাড়াও রয়েছে পাঁচটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। ছয়টি প্যান আমেরিকা খেতাব। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে দুটি খেতাবও রয়েছে তাঁর পকেটে। ১৯৮৯ সালে অবসর নিয়েছেন এই গ্রেট ডাইভার। একইসঙ্গে লেখক, সমাজকর্মী, অভিনেতা তিনি। ডাইভিং ছাড়ার পর একসঙ্গে অনেক কাজ করছেন লুগানিস।