নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স ১৯। নাম অ্যারন হার্ডি। জন্ম ব্রিটিশ উপকূলবর্তী শহর বর্নমাউথে। তবে ক্রিকেট খেলার শুরু অস্ট্রেলিয়ায়। ব্রিটিশদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াই হার্ডির সঙ্গে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয় ক্রিকেটের। পার্থে প্রথম ক্রিকেট খেলা। আর তরপর মাইক হাসির শহরে ক্রিকেটের সঙ্গেই হাত ধরাধরি করে বড় হয়ে ওঠা। সামনেই জীবনের ২০তম বসন্তে পা রাখবেন হার্ডি। আর তার আগেই বিরাট কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে গেলেন এই তরুণ পেসার। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নিলেন ১৯ বছরের অ্যারন হার্ডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও পর্যন্ত  প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাননি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নজরেও  সেভাবে আসেননি। এহেন এক অখ্যাত তরুণ-ই কি না বিরাটের উইকেট তুলে বাজি মেরে দিলেন। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানের উইকেট পাওয়ার পর অজি মিডিয়া তাঁকে ডাকছে ‘জায়েন্ট কিলার’ নামে। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘দৈত্য শিকারি’।



(বিরাটের উইকেট পাওয়ার পর উল্লাস অ্যারন হার্ডির)


দৈত্য-ই বটে। ৭৩ টেস্টে সাড়ে ছয় হাজারের কাছাকাছি রান। ২৪টি শতরান, ৬টি দ্বিশতরান। গড় ৫৪.৫৮। এদিক থেকে দেখতে গেলে এই মুহূর্তে তাঁর থেকে এগিয়ে রয়েছেন স্রেফ স্টিভ স্মিথ। নির্বাসিত অজি অধিনায়কের টেস্ট গড় ৬১.৩৮। ৬৪টি টেস্টে স্মিথের সংগ্রহ ৬ হাজার ১৯৯ রান। শতরানের নিরিখে বিরাটের থেকে কেবল একটি শতরান দূরেই আছেন স্মিথ (২৩)।


আরও পড়ুন- এ কেমন পোশাকে টস করতে এলেন বিরাট কোহলি! চলছে সমালোচনা


প্রসঙ্গত, সিডনিতে প্রস্তুতি ম্যাচেও বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান তাঁর ঝলক দেখিয়েছেন। ৯৭ মিনিট ব্যাট করে বিরাটের স্কোর ছিল ৬৪। খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন একজন ব্যাটসম্যানের উইকেট পেয়ে যেকোনও বোলারই যে উচ্ছ্বসিত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেখানে ১৯ বছরের এক নওজওয়ান বিরাটের উইকেট পেলে তো কথাই নেই। তা কৃতিত্বের সমতুল্যই হবে, সেটাই স্বাভাবিক।


আরও পড়ুন- গোড়ালিতে চোট, অ্যাডিলেড টেস্টে বাদ পৃথ্বী শ


বিরাট কোহলির উইকেট পাওয়ার পর অ্যারন হার্ডি অজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এটা খুব সুন্দর অনুভূতি এবং একই সঙ্গে আশ্চর্যজনকও। কিছুক্ষণ আগেও আমি বেধড়ক মার খাচ্ছিলাম। আর পরের মুহূর্তেই ওর উইকেট আমার হাতে। অনেকটা স্বপ্নের মতো”।