নিজস্ব প্রতিনিধি : ভয়-ডর বলে তাঁদের কিছু নেই। মাঠের বাইরের লড়াইটা এত ভয়ানক, যে মাঠের যুদ্ধ নিয়ে তাঁদের ভয়-ডর থাকার কথাও নয়। ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টে নামার আগে আসগর স্তানিকজাইয়ের আফগান দল তাই নির্ভীক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন -  রোনাল্ডোর মুখোমুখি অর্জুন কাপুর, মুগ্ধতার কথা জানালেন সিআরসেভেন


পাকিস্তানের উদ্বাস্তু শিবিরে থাকাকালীন ক্রিকেট-পাঠ শুরু করেছিল আফগানিস্তানের একটা প্রজন্ম। বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার মহড়া শুরু হয়েছিল সেই শিবির থেকেই। বাকিটা ইতিহাস। আফগানিস্তান এখন বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত নাম। কিছুদিন আগে আইসিসি তাদের টেস্ট খেলার ছাড়পত্রও দিয়েছে। ১৪ জুন বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট খেলিয়ে দলের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে কাবুলিওয়ালারা।


আরও পড়ুন আজুরিদের নতুন কোচ মানচিনি


বিশ্বের এক নম্বর দল। কিন্তু তাতে কী, বিন্দুমাত্র টেনশন নিচ্ছেন না আফগানরা। স্বস্তির খবরটা অবশ্য আফগান শিবিরে আগেই পৌঁছেছে। বিরাট কোহলি তাঁদের বিরুদ্ধে খেলবেন না। স্তানিকজাই এসব খবরে আমলও দিচ্ছেন না। উল্টে বলছেন, 'এই ভারতীয় দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী। এখানে প্রত্যেকে এক-এক জন বিরাট। আমাদের লড়াইটা কিন্তু একা বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে নয়, পুরো ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে। ফলে বিপক্ষ দলে কে থাকল আর কে থাকল না, তা নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই।' 


আরও পড়ুন - বাঙালি ক্রিকেট দেখতে ভালবাসে, খেলতে নয়: সৌরভ


১৪ জুন বেঙ্গালুরুতে হবে ভারত-আফগানিস্তান টেস্ট। একে তো প্রথম টেস্ট। তার উপর ভারতের মাটিতে খেলতে হবে। ব্যপারটা কতটা চাপের? স্তানিকজাই বলছিলেন, 'ভারতে খেলা হলে স্পিনাররা সুবিধা পাবে। আর আমাদের দলে ভাল স্পিনার রয়েছে।' আইপিএলে খেলার সুবাদে এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে ভালমতো পরিচয় রয়েছে আফগান শিবিরের এক নম্বর স্পিনার রশিদ খানের। রশিদ ছাড়া মুজিব উর রহমানও আইপিএলে খেলেছেন। আর দলের এই দুই ক্রিকেটারকেই তুরুপের তাস হিসাবে ধরছেন স্তানিকজাই। আফগান অধিনায়ক বলছিলেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে আমরা টিম কম্বিনেশন ধরে রেখেছি। আমাদের ব্যাটিং অর্ডারেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এটা আমাদের কাছে বাড়তি সুবিধা। তা ছাড়া টিমের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই ফর্মে রয়েছেন।' প্রসঙ্গত, গত বছরই আয়ারল্যান্ডর সঙ্গে আফগানিস্তানও টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। আয়ারল্যান্ড এখন ডাবলিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্ট খেলছে।


আরও পড়ুন - বিরাট নায়ক হতে পারতেন, শাহরুখ ক্রিকেটার, ‘উলটপূরাণ পছন্দ’ গাঙ্গুলির



মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে তাদের মাঠের বাইরের লড়াইটাও কোনও বিন্দুতে এসে কি মিলে যায়? প্রশ্ন শেষ হতেই, স্তানিকজাই সে কথা মেনে নিয়ে বললেন, 'আমাদের জয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটে। এটাই সব থেকে বড় পাওনা। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটছে ক্রিকেটের জন্য। এটাই তো আাদের জেতার খিদেটা দ্বিগুণ করে দেয়।'