সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক যোগে বুদ্ধি এবং শক্তির খেলা। মগজাস্ত্রে শান আবার শরীরী লড়াইও। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে মানানসই নতুন এক 'কম্বাইনড গেম'। মাইন্ড গেম সঙ্গে ফিজিক্যাল গেম। বুদ্ধি এবং শক্তির মেলবন্ধন কীভাবে সম্ভব? কী সেই খেলা? নাম চেস-বক্সিং।


আরও পড়ুন - হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সোনাজয়ী অ্যাথলিট, মুখ ফিরিয়ে প্রশাসন


নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে খেলা। প্রথমে চেস অর্থাত্ দাবা আর তার পর বক্সিং। প্রথমে ৬৪ খোপের সাদা-কালো বোর্ডে বুদ্ধির পরীক্ষা। তার পর বক্সিং রিং-এ শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। দাবার বোর্ডে কিস্তিমাত সঙ্গে বক্সিং রিং-এ পাঞ্চ। দু'য়ে মিলে চেস-বক্সিং।


আরও পড়ুন - এক চোখে দৃষ্টি নেই, চোখ ধাঁধানো গোল করে পুসকাস ট্রফির দাবিদার প্যারাগুয়ের অখ্যাত ফুটবলার


সময়টা ২০০০ সালের গোড়ার দিকে। ফরাসি ঔপন্যাসিক এনকি বিলালের মজার বই 'ফ্রড ইকুয়াতের' একটা ছবিতে দেখা যায়, দাবার ঘুঁটি ধরে আছে একটা বক্সিং গ্লাভস। এই ছবি থেকেই একটা নতুন ভাবনার জন্ম দিলেন ডাচ পারফরম্যান্স আর্টিস্ট লেপে রুবিন। জন্ম নেয় নতুন খেলার। খেলাটা প্রথমে শুরু হয় জার্মানিতে। তারপর আস্তে আস্তে ফ্রান্স-রাশিয়া সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালে মন্টু দাসের হাত ধরে ভারতে আত্মপ্রকাশ হয় ব্রেন ও বডির যৌথ খেলা চেস-বক্সিংয়ের।


খেলার নিয়ম কেমন ?


  1.  নূন্যতম ৫ রাউন্ডের(৩ রাউন্ড চেস+২  রাউন্ড বক্সিং) খেলা, সর্বোচ্চ ১১ রাউন্ডের (৬ রাউন্ড চেস+৫ রাউন্ড বক্সিং) খেলা।   

  2.  প্রতিটি রাউন্ড ৩ মিনিট করে।

  3.  প্রথমে ব়্যাপিড চেস দিয়ে শুরু। ৩ মিনিট পর ১ মিনিটের বিশ্রাম এবং তার পর বক্সিং ৩ মিনিটের।

  4. কোনও রাউন্ডে ব়্যাপিড চেসে চেকমেট কিংবা বক্সিংয়ে নকআউট করে দিলে ওখানেই খেলা শেষ।



আসলে আধুনিক বিশ্বে বাইথেলন, ট্রায়াথেলন স্পোর্টসের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। তাই চেস-বক্সিংয়ের মতো কম্বাইন গেমসের উত্তরোত্তর বৃ্দ্ধি হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতাতেই হয়ে গেল অ্যামেচার চেস-বক্সিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ। ২৬ থেকে ২৯ জুলাই ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে চেস-বক্সিংয়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ভারত ছাড়াও রাশিয়া, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিনল্যান্ডের একশোরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন। চেস-বক্সিংকে অলিম্পিক গেমসের অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস শুরু করে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।