ধোনির প্যাড সেলাই করে মুজুরি পেয়েছেন ৫০০ টাকা!
পেশায় মুচি এই ব্যক্তি কি না সেলাই করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির প্যাড। মুজুরি পেয়েছেন ৫০০ টাকা। জীবনে এমনটা বারবার ঘটবে? ঘটবে না বলেই তো ললিত রাম বলছেন, “আমি ধোনির প্যাড সেলাইয়ের সৌভাগ্য পেয়েছি”।
![ধোনির প্যাড সেলাই করে মুজুরি পেয়েছেন ৫০০ টাকা! ধোনির প্যাড সেলাই করে মুজুরি পেয়েছেন ৫০০ টাকা!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/10/22/149172-dhoni.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কতো কিছুই তো জীবনে ঘটে! সবটা কি আর মনে থাকে? বলা ভাল, সবটা কি আর মনে রাখার মতো ঘটে? সেই ঘটনাই মনে থাকে, যা ঘটমান জীবনের ঘটনাবহুল দিনলিপির মধ্যে এক আধটা ঘটনা, হঠাত্ ঘটে যায়। সারা জীবনে হয়ত আর কখনও ঘটবে না, এমন ঘটনাই তো সারা জীবন মনে থেকে যায়! এমনই একটা ঘটনা সারা জীবনের জন্য স্মৃতির কুঠুরিতে জমা হয়ে রয়ে গেল গুয়াহাটির ললিত রামেরও।
আরও পড়ুন- ১৯ বছরের ক্রিকেট জীবনের ইতি! গলে-তে শেষ টেস্ট খেলবেন রঙ্গনা হেরাথ
পেশায় মুচি এই ব্যক্তি কি না সেলাই করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির প্যাড। মুজুরি পেয়েছেন ৫০০ টাকা। জীবনে এমনটা বারবার ঘটবে? ঘটবে না বলেই তো ললিত রাম বলছেন, “আমি ধোনির প্যাড সেলাইয়ের সৌভাগ্য পেয়েছি”।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। বাঙালি তখন নবমী নিশির অপেক্ষায়। আর গুয়াহাটি তখন ব্যস্ত ক্রিকেট আয়োজনে। সব মিডিয়ার নজর গুয়াহাটির পাঁচ তারা হোটেলে। ওখানেই রাখা হয়েছে ভারতীয় দলকে। ২১ তারিখের ম্যাচের আগে কার্যত ওটাই ছিল টিম ইন্ডিয়ার বেস ক্যাম্প। প্রতিদিন তারকাদের আনাগোনা দেখেই দিন কেটে যাচ্ছিল ললিত রামের। কয়েক জোড়া জুতো সেলাই, আর জুতো পলিশ, রোজকার নামচাই চলছিল। হঠাত্ ললিতের কাছে এল প্যাড সেলাইয়ের কাজ। সেটাও কি না বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়কের! সুযোগটা একেবারে লুফে নিয়েছিলেন ললিত। সেলাই শেষে প্রণামও করতে চেয়েছিলেন ক্রিকেট নক্ষত্রকে। তবে ধোনি তাঁকে আটকেছেন। উল্টে তাঁর হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে হোটেলে ফিরে গিয়েছেন মাহি।
আরও পড়ুন- ক্যাপ্টেন কোহলি ও হিটম্যানের শতরানে ক্যারিবিয়ান বধ টিম ইন্ডিয়ার
এই অভিজ্ঞতার কথাই অসমের একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন ললিত রাম। তিনি বলেন, “ঈশ্বরের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, আমার জীবনে এই সৌভাগ্য বয়ে আনার জন্য। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমার ইচ্ছে ছিল তাঁকে (ধোনি) প্রণাম করার। তবে আমাকে তা করতে দেননি তিনি। উল্টে একটি নিজস্বী তুলে হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে চলে গিয়েছেন”। অসমের একটি ওয়েবসাইটেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।