গোয়াতে ধুতি-পাঞ্জাবির খোঁজ করছেন এটিকেএমবি-র বাঙালি ফুটবলাররা
পুজোয় সামিল হতে না পেরে প্রণয়-অরিন্দমদের মন স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা খারাপ। তবে এটিকে মোহনবাগানের একঝাঁক বাঙালি ফুটবলাররা অবশ্য নিজেদের প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজো আসছে। মন উড়ুউড়ু। সবার মনেই ছুটির মেজাজ। কিন্তু ছুটি নেই প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদারদের। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল খেলতে সবাই এখন গোয়ায়। স্প্যানিশ কোচ হাবাসের তত্ত্বাবধানে চলছে প্রস্তুতি পর্ব। পুজোতেও চলবে জোরকদমে অনুশীলন।
আরও পড়ুন- নিভৃতবাস পর্ব শেষ করে মাঠে নেমে পড়লেন হাবাস
এ বছরটা অন্যান্য বারের থেকে অনেক আলাদা। কোভিড বিধির জন্য টুর্নামেন্ট শুরুর অনেক আগেই পুরো দলকে গোয়া উড়ে যেতে হয়েছে। কারণ এবার আইএসএল হবে শুধু গোয়াতেই। নিভৃতবাস পর্ব শেষ করে মাঠে অনুশীলনেও নেমে পড়েছেন এটিকে মোহনবাগানের বাঙালি ফুটবলাররা। গোলরক্ষক অরিন্দম ঘোষের বাড়ির পুজো এবার ১০০ বছরে পড়ল। ধুমধাম করে পুজো হয়। পুজোয় সামিল হতে না পেরে প্রণয়-অরিন্দমদের মন স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা খারাপ। তবে এটিকে মোহনবাগানের একঝাঁক বাঙালি ফুটবলাররা অবশ্য নিজেদের প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন। পুজোর দিনে অনুশীলনের পর একসঙ্গে ধুতি পাঞ্জাবি পরে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে চান অরিন্দমরা।
আরও পড়ুন- IPL 2020: মধ্যরাতে ম্যাচ জিতে শিশুর মতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন প্রীতি
এমনিতেও কোভিড বিধির জন্য বাইরে ঘোরাঘুরি নিষেধ। অষ্টমীর দিন প্রণয়-প্রবীরদের সঙ্গে ডিনার করে পুজোর সেলিব্রেশন করতে চান প্রীতম কোটাল। পরনে অবশ্যই থাকবে ধুতি-পাঞ্জাবি। পুজোর দিনগুলোয় সোদপুরের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই আনন্দ করতেন এটিকে মোহনবাগানের মিডিও প্রবীর দাস। এবার পরিস্থিতি অনেক আলাদা। সেটাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাই করছেন সবাই। তবে বাড়ির থেকে অনেক দূরে থাকলেও সতীর্থদের সাথে একসঙ্গেই রয়েছেন সবাই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে চান প্রণয়-অরিন্দমরা।