নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ মানুষ ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে উত্সাহী নন। ১৪.৫ শতাংশ মানুষ আবার এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর কোথায়, কবে থেকে বসছে তাই জানেন না। দেশটার নাম? শুনলে নির্ঘাত অবাক হবেন। ফুটবল নিয়ে এতটাই অনীহা এখন ব্রাজিলে। যে দেশ কিনা 'ফুটবলের দেশ' নামে বিখ্যাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুনপ্রকাশিত হল রাশিয়া বিশ্বকাপের থিম সং, মনে ধরল কি?


চার বছর আগে বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ হয়েছিল ব্রাজিলে। সে দেশের অধিকাংশ মানুষ কিন্তু সেবারও ফুটবলের দিকে ফিরে তাকাতে চাননি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেকজনক। তার উপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও দুর্নীতির ছায়া। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ফুটবল নিয়ে ডুবে থাকতে চাননি। বরং ব্রাজিলের একাংশ বিশ্বকাপের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে চেয়েছিলেন। সেই মতো ২০১৪ বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিলজুড়ে গনআন্দোলন প্রবল আকার নিয়েছিল। তা থেকে হিংসাও ছড়ায় ব্যাপক হারে। কিন্তু প্রশাসন শেষমেশ কড়া হাতে তা দমন করে। কম-বেশি নাশকতা ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের যজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছিল ভালভাবেই। 


আরও পড়ুনচোট সারিয়ে বিশ্বকাপের আগে চেনা ছন্দে ফিরছেন নেইমার


বিশ্বকাপ শুরুর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই রিও ডি জেনেইরোর রাস্তায় শুরু হয়ে যায় স্ট্রিট পার্টি। ৪০ বছরের পুরনো এই প্রথার পোশাকি নাম 'আলজিরাও'। রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি মাত্র আর তিন সপ্তাহ। অথচ এবার এখনও আলজিরাও শুরু হওয়ার নাম-গন্ধ নেই। সব থেকে খারাপ খবর, আলজিরাও এবার তার দশ বছরের পুরনো স্পনসরশিপ হারিয়েছে। ফলে ১৪ জুন রাশিয়ায় ফুটবলের মহাযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে এই বহুপুরনো প্রথা শুরু হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।


 খুব কমসংখ্যক ব্রাজিলিয়ান নেমার, মার্সেলোদের খবরাখবর রাখছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ অবশ্য বিশ্বাস করে, ব্রাজিলের এই দলটা ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে। আবার একাংশ মনে করে, ব্রাজিল দলটাকে একার কাঁধে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নেমারের। এর মাঝে অবশ্য একটা কথা বলে রাখা দরকার। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল কতটা উত্তেজনায় ফুটছে? আদতে এটা নিয়েই গবেষণা করতে চেয়েছিল ব্রাজিলের পানামা ইনস্টিটিউট। গবেষণায় যা উঠে এল তাতে তারা নিজেরাই চমকে গিয়েছে। যাবতীয় পরিসংখ্যানের হিসাব তাদেরই দেওয়া। 


আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে মেসি-রোনাল্ডোদের টিম বাসের স্লোগান প্রকাশ করল ফিফা


ব্রাজিল ফুটবলের প্রশাসকরা ২০১৪-র মতো এবারও একই সুরে গান গাইছেন। তাদের দাবি, নেমারের দল বিশ্বকাপ জিতলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রশাসকদের একাংশ এটাও দাবি করছেন, গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের লজ্জাজনক হার দেশের সাধারণ মানুষকে বিমুখ করে তুলেছে। দেশের ফুটবল দলের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছে একটা বড় অংশের ফুটবল সংমর্থকদের। রাশিয়া বিশ্বকাপে নেমারদের প্রথম কাজ হবে সেই বিশ্বাস পুনরায় অর্জন করা। আর দেশের মানুষের মন ফিরে পেতে বিশ্বকাপ জয় ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ব্রাজিলের ফুটবল মহল অন্তত সেটাই বলছে।