ধোনিদের ভরাডুবিতে সচিনদের অক্সিজেন
একেই বলে ক্রিকেট। একেই বলে টি টোয়েন্টি। রাজাকে ফকির বানিয়ে দিতে গল্পের লেখকে খরচ করতে হয় বেশ কিছু শব্দ। আর আইপিএলে রাজাকে ফকির বানাতে লাগে মাত্র কয়েকটা ওভার। যে দলটা আইপিএলের সবচেয়ে শক্তিশালী, চোখধাঁধানো, তারাই আজ অলআউট হয়ে গেল মাত্র ৭৯ রানে। হ্যাঁ, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ধোনির দল আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন রানের ইনিংস গড়ল। প্লে অফে আগেই উঠে যাওয়ার অদ্ভুত এক আত্মতুষ্টির শিকার হল চেন্নাই সুপার কিংস। এবারের আইপিএলে এটাই একটা দলের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস।
মুম্বই ইন্ডিয়ন্স-১৩৯/৭। চেন্নাই সুপার কিংস- ৭৯
একেই বলে ক্রিকেট। একেই বলে টি টোয়েন্টি। রাজাকে ফকির বানিয়ে দিতে গল্পের লেখকে খরচ করতে হয় বেশ কিছু শব্দ। আর আইপিএলে রাজাকে ফকির বানাতে লাগে মাত্র কয়েকটা ওভার। যে দলটা আইপিএলের সবচেয়ে শক্তিশালী, চোখধাঁধানো, তারাই আজ অলআউট হয়ে গেল মাত্র ৭৯ রানে। হ্যাঁ, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ধোনির দল আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন রানের ইনিংস গড়ল।
প্লে অফে আগেই উঠে যাওয়ার অদ্ভুত এক আত্মতুষ্টির শিকার হল চেন্নাই সুপার কিংস। এবারের আইপিএলে এটাই একটা দলের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস।
শেষ উইকেটে বেন লাফলেন- জাদেজা জুটি দারুণ না খেললে আরও বড় লজ্জা অপেক্ষা করছিল চেন্নাইয়ের। চেন্নাইয়ের নবম উইকেটের পতন হয়েছিল ৫৪ রানে।
আইপিএলের সবচেয়ে কম রানের ইনিংস রাজস্থান রয়্যালসের (৫৮)। তাই কানঘেঁসে আইপিএলের সবচেয়ে সফল দলের সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে বেঁচে গেল।
মুম্বই ইন্ডিয়ন্স ১৩৯ রানের ইনিংস গড়ার পর মনে হয়েছিল ধোনিরা আবার জয় পেতে চলেছেন। কিন্তু আইপিএল বিশ্ব অবাক হল কিছু পরে। মাত্র ১৮ রানে চেন্নাই সুপার কিংসের চার উইকেট পড়ে গেল। তারপর বিপর্যয়টা আরও গভীর হল যখন ধোনিও ফিরলেন। তখন চেন্নাই ৭ উইকেটে ৫২ রান।
ধোনিদের ভরাডুবিতে লাভ হল মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হত মুম্বই ইন্ডিয়ন্সকে। তাই হল। আইপিএলে প্লে অফের লড়াই এখন জমে উঠল। ধোনিরা আগেই প্লে অফে উঠে গেছে। বাকি তিনটে স্থানের লড়াই এখন বেঙ্গালুরু, রাজস্থান, মুম্বই আর হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।
এক নজরে আইপিএলের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস--
রাজস্থান রয়্যালস-- ৫৮ রান (১৮ এপ্রিল, ২০০৯, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে, কেপটাউনে)
কলকাতা নাইট রাইডার্স-- ৬৭ রান (১৬ মে, ২০০৮, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে)
কোচি টাস্কার্স কেরালা- ৭৪ রান (২৭ এপ্রিল, ২০১১, ডেকান চার্জাসের বিরুদ্ধে, কোচিতে)
চেন্নাই সুপার কিংস- ৭৯ রান- (৫ মে, ২০১৩, মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের বিরুদ্ধে, মুম্বই)
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস- ৮০ রান- (৪ মে, ২০১৩, সান রাইজার্স হায়দরাবাদে)