নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০২ সালের বিশ্বকাপ থেকেই তাঁদের সম্পর্কের শুরুয়াত। কোরিয়া আর জাপান যে বার বিশ্বকাপ আয়োজন করে সে বছরই ফুটবলের বন্ধনে জড়িয়ে যান রুশ যুগল আর্সেন এবং লায়ডমাইলো। তখন থেকেই তাঁরা একসঙ্গে।  হাতে হাত ধরে একে একে দেখে ফেলেছেন পাঁচ পাঁচটা বিশ্বকাপ। ইচ্ছে ছিল কাতার বিশ্বকাপও এক সঙ্গেই দেখবেন। তবে সেটা হয়ত আর হবে না। কারণ, মেসি-রোনাল্ডো বিতর্কে বিয়ে ভাঙলেন মস্কোর এই  দম্পতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- হ্যারি কেনের আলোয় ‘ব্রিটিশ বিপ্লব’, ব্যারিকেড ঠোঁটে ঠোঁটে!


আর্সেন বরাবরই বার্সেলোনা প্রেমী। সেই সূত্রে মেসির প্রতিও অনুরাগ তৈরি হয়েছে তাঁর। বিশ্বকাপে রাশিয়ার সাফল্যে যতটা না খুশি হয়েছেন, তার থেকেও বেশি খুশি হয়েছেন মুসাদের বিরুদ্ধে মেসিদের জয়ে। বিশ্বকাপে এলএমটেনের গোলে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসেও মেতেছিলেন আর্সেন। সহ্য হয়নি স্ত্রী লায়ডমাইলোর। ‘পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারে না, সে আবার বড় ফুটবলার’! মেসির বিরুদ্ধে এই বিদ্রুপে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন আর্সেন। পাল্টা তোপ দাগেন স্বামীও। স্ত্রীর পছন্দের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে কার্যত খড়্গহস্ত হন আর্সেন। গালমন্দ করেন রোনাল্ডোর মাদ্রিদ-সহ লায়ডমাইলোর পছন্দের ক্লাবগুলোকে-ও।


আরও পড়ুন- বাবার অপহরণের খবর পেয়েও আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছিলেন ছেলে!


ব্যস্! মেসি-রোনাল্ডো নিয়ে বাকবিতণ্ডা এমন চরমে পৌঁছায় যে দেড় দশকের সম্পর্ক ভাঙতেও পিছুপা হননি আর্সেন। রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচের পরের দিনই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানান তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, অনেক হয়েছে, আর নেওয়া যাচ্ছে না! স্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বিশ্বকাপ শুরু হতেই মেসিকে নিয়ে ঠাট্টা করত লায়ডমাইলো। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করায় আর্সেনের স্ত্রীর উপহাসের পাত্র হন মেসি। সব মাত্রা ছাড়ায় নাইজেরিয়া ম্যাচে। এরপরই বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন আর্সেন।         


আরও পড়ুন- 'নাটুকে' নেইমারকে মারাদোনার পরামর্শ!