নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাস লেখা হল, অথচ সেই ইতিহাসে নাম থাকল না ক্রোয়োশিয়ার বর্ষীয়ান ফরোয়ার্ড নিকোলা কালিনিচের। রবিবার যখন মস্কোর লুজনিকি-তে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামবে ক্রোয়েশিয়া, তখন রাশিয়া থেকে বহুদূরে সোলিনে থাকবেন কালিনিচ। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যখন মাঠে নামবেন লুকা মাদ্রিচ, পেরিসিচরা তখন  টেলিভিশনের পর্দায় সতীর্থদের খেলা দেখতে হবে তাঁকে। বিশ্বকাপের এই স্মরণীয় ফাইনাল তাঁর কাছে হয়ে থাকবে বিরহের স্মৃতি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আরও পড়ুন- ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে সেমিফাইনাল খেললেন ক্রোয়েশিয়ার তারকা


বিশ্বকাপ চলাকালীনই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার কালিনিচকে দেশে পাঠিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তাই রিজার্ভ বেঞ্চেও ঠাঁই হয়নি তাঁর। এখন প্রশ্ন, ৩০ বছরের এই অভিজ্ঞ ফুটবলারকে হঠাত্ বাড়ি পাঠাল কেন ম্যানেজমেন্ট?


আরও পড়ুন- নেমারের জন্য জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এমবাপের


ঘটনার সূত্রপাত নাইজেরিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে। খেলা তখন দ্বিতীয়ার্ধে গড়িয়েছে। পরিবর্ত হিসেবে তাঁকে মাঠে নামতে বলেছিলেন কোচ ডালিচ। কোচের কথা অমান্য করেন কালিনিচ। চোট রয়েছে, এই কারণ দেখিয়েই মাঠে নামতে অস্বীকার করেন তিনি।


আরও পড়ুন- চিঠি লিখে সতীর্থদের আবেগ জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড কোচ


তবে তাঁর চোটের কথা বিশ্বাযোগ্য বলে মনেই হয়নি কোচ এবং বাকি খেলোয়াড়দের। এরপরই মারিও মানজুকিচের ব্যাক-আপ হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া নিকোলা কালিনিচকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ক্রোয়েশিয়া ম্যানেজমেন্ট। যার ফল স্বরূপ বিশ্বকাপের স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যায় তাঁর। আর এই ঘটনার পর  সমালোচকদের অনেকই কালিনিচের সমালোচনা করে বলছেন, দেশ প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে, অথচ এতে চরম অখুশি নিকোলা কালিনিচ!