ড্র আই লিগের দ্বিতীয় ডার্বি
অমীমাংসিতভাবে শেষ হল আই লিগের দ্বিতীয় ডার্বি ম্যাচ। শনিবার যুবভারতীতে ১-১ গোলে শেষ হয় মেগাম্যাচ। খেলার ৩৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন রবিন সিং। দীর্ঘদিন পর গোল পেলেন লাল-হলুদের এই স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান সেই ওডাফা।
অমীমাংসিতভাবে শেষ হল আই লিগের দ্বিতীয় ডার্বি ম্যাচ। শনিবার যুবভারতীতে ১-১ গোলে শেষ হয় মেগাম্যাচ। খেলার ৩৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন রবিন সিং। দীর্ঘদিন পর গোল পেলেন লাল-হলুদের এই স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান সেই ওডাফা।
প্রায় একক দক্ষতায় গোল করে যান নাইজেরীয় গোলমেশিন। তিনটে ডার্বিতেই গোল পেলেন ওডাফা। আই লিগে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে দুদলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বড়ম্যাচটি। ব্যারেটোকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেই দল নামিয়েছিলেন সুব্রত-প্রশান্ত। দলগঠনে চমক ছিল মরগ্যানেরও। খেলার শুরু থেকেই পেন-মেহেতাব মাঝমাঠের দখল পেয়ে যেতেই অন্য চেহারায় পাওয়া যায় লাল-হলুদ শিবিরকে। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকার পর, ওডাফার ম্যাজিকের কাছে হার মানে ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগান সমতা ফেরানোর পর হঠাত্ করেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যান ব্যারেটোরা। টোলগেরা একের পর এক আক্রমন তুলে আনতে থাকেন বিপক্ষের বক্সে। মোহনবাগানের সমস্যা বাড়ায় ব্যারেটো আর লিমার চোট। শেষ ১৫ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় মোহনবাগানকে। সেসময় ইস্টবেঙ্গলের অনবরত আক্রমনের সামনে দৃঢতা দেখায় সবুজ-মেরুন ডিফেন্স এবং গোলরক্ষক সংগ্রাম মুখার্জি। বড়ম্যাচ ড্র হওয়ায় চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে আরও পিছিয়ে পড়ল কলকাতার দুপ্রধান। ১৯ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হল ৩৫ আর মোহনবাগানের ৩৪।