`পয়া` কলকাতা লিগের খেতাবি লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল
লিগ জয়ের দরজা খুলে গেল মোহনবাগানের সামনে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : পয়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু তাতেই এবার এমন ব্যর্থতা। কলকাতা লিগ আর ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিল গত কয়েক বছরে। কিন্তু এবার সেই পয়া টুর্নামেন্টের খেতাবি লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গেল।
টানা ৮ বছর পর মোহনবাগনের কলকাতা লিগ জয়ের রাস্তা খুলে দিলেন দুই প্রাক্তন মোহনবাগানী। আনসুমনা ক্রোমা যাঁকে গতবছর ছেঁটে ফেলেছিল মোহনবাগান, তিনিই পিয়ারলেসের জার্সিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করলেন। গোল করলেন আরেক প্রাক্তন মোহনবাগানী। নরহরি শ্রেষ্ঠা। পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে এদিন ২-১ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল। একইসঙ্গে এই হালাল-হলুদ শিবিরকে কলকাতা লিগের খেতাবি লড়াই থেকে ছিটকে দিল। অন্যদিকে, লিগ জয়ের দরজা খুলে গেল মোহনবাগানের সামনে।
আরও পড়ুন- পদক না জিতেও ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন গোবিন্দন!
ডার্বির পর মোহনবাগানের বড় জয়। স্বাভাবিকভাবেই অদৃশ্য এক চাপ ছিল ইস্টবেঙ্গলের উপর। পিয়ারলেস ম্যাচে সেই চাপটাই যেন বারবার পরিলক্ষিত হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। তার উপর এদিন লড়াইটা যেন হয়ে উঠেছিল পিয়ারলেস কোচ বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্য বনাম ইস্টবেঙ্গলের। কারণ ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ বিশ্বজিত্। ম্যাচ শেষে তিনি আবার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করে বসেন। কারণ হিসাবে দল চালাতে অসুবিধা, কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যের ব্যাপার তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন- বড়সড় স্পনসর পেল মোহনবাগান, দাবি সচিব অঞ্জন মিত্রের
পিয়ারলেসের হয়ে ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন প্রাক্তন মোহনবাগানী ক্রোমা। এর পর ২৭ মিনিটে চোট পেয়ে ক্রোমা মাঠের বাইরে চলে যান। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরান কাসিম হায়দারা। এরপরমাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে আরেক মোহনবাগানী নরহরি শ্রেষ্টার গোলে এগিয়ে যায় পিয়ারলেস। ম্যাচের শেষের দিকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। খেলা শেষে এদিনও ৮ মিনিট ইনজুরি টাইমের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। কিন্তু তাতেও ইস্টবেঙ্গলের কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন- স্বপ্নার জন্য পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ুক! জোরালো দাবি দেশের ক্রীড়ামহলে
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করায় খেতাবি লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের সমান ম্যাচ খেলে এই মুহূর্তের ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। গোলপার্থক্যেও মোহনবাগানের থেকে ৬ গোলে পিছিয়ে তাঁরা।