ব্রিটিশ আগ্রসনের মুখে ভারত, ফের শতরান কুকের
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইডেন কেমন একটা ম্লান হয়ে গেল। সারাদিন ধরে ধোনি ও তাঁর সঙ্গীরা সারা মাঠ চষেও একের বেশি উইকেট ঘরে নিয়ে যেতে পারলেন না। ইডেনের বাইশ গজ হঠাত্ করে রাতারাতি ধোনির বিরুদ্ধাচারণ করবে এমন প্রত্যাশাও ছিল না মাঠের বাইরে বসে থাকা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ২৭৩/৭। আর আজ ইংল্যান্ডের রান ২১৬/১। অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক ১৩৬ রানে অপরাজিত। সঙ্গে রয়েছেন জনাথন ট্রট ২১।
ভারত- ৩১৬
ইংল্যান্ড-২১৬/১
অ্যালেস্টার কুক-১৩৬
জনাথন ট্রট-২১
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইডেন কেমন একটা ম্লান হয়ে গেল। সারাদিন ধরে ধোনি ও তাঁর সঙ্গীরা সারা মাঠ চষেও একের বেশি উইকেট ঘরে নিয়ে যেতে পারলেন না। ইডেনের বাইশ গজ হঠাত্ করে রাতারাতি ধোনির বিরুদ্ধাচারণ করবে এমন প্রত্যাশাও ছিল না মাঠের বাইরে বসে থাকা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ২৭৩/৭। আর আজ ইংল্যান্ডের রান ২১৬/১। অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক ১৩৬ রানে অপরাজিত। সঙ্গে রয়েছেন জনাথন ট্রট ২১।
তবে দ্বিতীয় দিনে পিচ একটু হলেও ভেঙ্গেছে। আশা ছিল প্রথম দিনেই যখন পনেসরের এত লাফালাফি অশ্বিন, ওঝারাও এই পিচে হয়তো কিছুটা সুযোগ করে নিতে পারবেন। অ্যান্ডারসনও যথেষ্ট আক্রমণাত্বক ছিলেন। সবকিছু নিয়ে ব্রিটিশ বোলিং দাপট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম ছিল। সেখানে ভারতীয় বোলাররা আজ বৃথাই সমুদ্রমন্থন করলেন। কোনও অমৃত উঠে এল না। ভারতীয় বোলাররা যখন হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, নিক কমটন টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম অর্ধশতরানটি পূরণ করে ফেলেন। সাতান্ন রানের মাথায় প্রজ্ঞান ওঝার বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কমটন। তবে অধিনায়ক কুক তাঁর ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যান। মাটি যে দেশেরই হোক, পিচ ফাস্ট বা স্পিন হোক, লক্ষ্য স্থির থাকলে উঠনের দোষ কখনও দেওয়া যাবে না; আজ আরও একবার তা প্রমাণ করলেন কুক। পরপর তিনটি সেঞ্চুরি। মোতেরায় ১৭৬, ওয়াংখেড়ে ১২২ আর ইডেনে ১৩৬ এখনও লড়াই জারি। ব্রিটিশ ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি সর্ব্বোচ শতরানের অধিকারী হয়ে বিরল কৃতিত্ব স্থাপন করলেন।
এখন দেখার বিষয় তৃতীয় দিনে ধোনিবাহিনীরা কীভাবে পরিকল্পনা করে মাঠে নামেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃতীয় দিনে ইডেন পিচে স্পিন আরও ভাল কাজ করবে। ওঝা, অশ্বিনরা আগামিকাল যে বাড়তি সুবিধা পাবেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রথম কয়েক ওভারের মধ্যে কুক ও ট্রটকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর দায়িত্ব ইশান্ত ও জাহির নিতে পারলে, অনেকটাই এগিয়ে যাবে ব্রিটিশ লাইনআপ ভাঙ্গার কাজ। শিশির ভেজা পিচে বাড়তি পেস পাবে তাঁরা। তবে আজকের মতো যদি ভারতীয় বোলাররা ব্যর্থ হন, তাহলে `বদলার লড়াই` তো দূরে থাক, ফের ব্রিটিশ পরাধীনতায় ধরা পড়ে যাবে ভারত।