লর্ডসের উইকেটে থাকছে চমক, বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন পেসাররা!
ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি এবং লকি ফার্গুসনের সঙ্গে জিমি নিশাম। ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন-আপ এঁরাই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : যেন লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। আজ টেস্টের প্রথম দিন। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ হলে যেমন উইকেট দিয়ে কোহলিদের স্বাগত করত ইংল্যান্ড, আজ বিশ্বকাপ ফাইনালে তেমনই গ্রিন টপ দেখা যাবে। মাঠ আর উইকেট যেন আলাদা করা যাচ্ছে না। এমন উইকেটে পেসাররা যে আগুন ঝড়াবেন তা বলাবাহুল্য। তবে এক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ড কিন্তু এগিয়ে থাকবে। কারণ, তাদের মূল শক্তি পেস বিভাগ। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি এবং লকি ফার্গুসনের সঙ্গে জিমি নিশাম। ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন-আপ এঁরাই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- একটি টিকিটের দাম ১৪ লাখ! বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ টাকার খেলা
ম্যাচের আগেরদিন ইংল্যান্ডের সময় সন্ধে ছটার সময়ও গ্রেন টপ বহাল ছিল। অর্থাত্, পিচের ঘাস ছাঁটা হয়নি। এর মাঝে ইংল্যান্ডে প্র্যাক্টিস করে হোটেলে ফিরে গিয়েছে। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনরা সকালে একবার পিচ দেখে গিয়েছিলেন। তিনি সন্ধ্যের দিকে এবার এলেন। পিচ দেখে গেলেন। এতটা সবুজ উইকেট হয়তো তিনিও আশা করতে পারেননি। ভেবেছিলেন হয়তো বিকেলের দিকে ঘাস ছাঁটা হবে। লর্ডসের পিচের ছবি তুলে টুইটারে নাসির হুসেন লিখলেন, আউটফিল্ড আর পিচ তো আলাদা করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- ছ'মাস আগে এই জ্যোতিষী বলে দিয়েছিলেন, ভারত বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারবে!
জোফ্রা আর্চার, মার্ক উড, ক্রিস ওকস, লায়াম প্লাঙ্কেট। ইংল্যান্ডের হাতেও যে পেস অস্ত্র নেই তা নয়। তবে ঘরের মাঠে ফাইনালে এম গ্রন টপ-এ খেলাটা ইংল্যান্ডের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে ব্রিটিশ ক্রিকেট বিশারদদের একাংশ। লর্ডসের মাঠে বর্তমান পিচ প্রস্তুতকারকের নাম বিখ্যাত এক ফাস্ট বোলারের নামে। ম্যাকডারমট। ইনি ক্রেগ নন, ইনি কার্ল ম্যাকডারমট। সাউদাম্পটনে হেড কিউরেটর ছিলেন। ম্যাকডারমটের অতীত ইতিহাস বলছে, উইকেট বানানোর সময় তিনি বোলারদের কথা মাথায় রাখেন। তিনি আবার শুধু ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেট বানানোর পক্ষপাতি নন। তাই আজ লর্ডসের উইকেট থেকে যে ব্যাটসম্যানরা বিরাট কিছু সুবিধা পাবেন না, তা বলাই যায়।
চলতি বিশ্বকাপে একাধিক লো স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। দর্শকরা হতাশ হয়েছেন। আধুনিক ক্রিকেটে রান ওঠাটা মুড়ি-মুড়কির মতো ব্যাপার। একদিনের ক্রিকেটে ৩০০ রানের গণ্ডি এখন মামুলি ব্যাপার। তবে বিশ্বকাপে তার অন্যথা হয়েছে। এমনকী সেমিফাইনালও হয়েছে লো-স্কোরিং। আজ টসে জিতলে কী করা উচিত? পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমে ব্যাটিং করা দল চলতি বিশ্বকাপে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জিতেছে। লর্ডসে শেষ পাঁচটি একদিনের ম্যাচে যারা প্রথমে ব্যাট করেছে, তারা জিতেছে। তবে আরও একটা ফ্যাক্টর রয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে কি কোনও অধিনায়ক রান তাড়া করার চাপ নিতে চাইবেন!