Ind vs Aus: এই ড্র কাপুরুষোচিত, বিহারীকে `ক্রিকেটের খুনি` বললেন Babul suriyo
বাবুল সুপ্রিয় স্বীকার করলেন, তিনি ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না। তবে একজন সাধারণ ক্রিকেট সমর্থক হিসাবে ম্যাচ দেখার পর তাঁর যা মনে হয়েছে, সেটাই টুইটারে লিখেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- হ্যামস্ট্রিং-এর চোট নিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং। হনুমা বিহারীর লড়াইকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা। তবে একজন এই ড্র ও লড়াইকে মূল্য দিতে নারাজ। তিনি বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হনুমা বিহারী ২৫০-র বেশি বল খেললেন। ধৈর্যের পরীক্ষায় দুজনেই পাস। এই দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের লড়াইয়ে Team India জিতল না বটে! তবে Sydney Test ড্র করেই যেন সন্তুষ্ট হল ভারতীয় দল। সন্তুষ্ট হওয়ার যথাযথ কারণ রয়েছে অবশ্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ভারতীয় দলের সামনে। চোটে জর্জরিত ছিল দল। জাদেজা, পন্থ, বিহারী, অশ্বিনের চোট টিম ম্য়ানেজমেন্টকে চাপে ফেলেছিল। শেষমেশ সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে এই ড্র তাই ঐতিহাসিক আখ্যা পেল।
বাবুল সুপ্রিয় স্বীকার করলেন, তিনি ক্রিকেটের কিছুই বোঝেন না। তবে একজন সাধারণ ক্রিকেট সমর্থক হিসাবে ম্যাচ দেখার পর তাঁর যা মনে হয়েছে, সেটাই টুইটারে লিখেছেন। বাবুলের মনে হয়েছে, হনুমা বিহারী (Hanuma Vihari) একটু বেশিই গুঁটিয়ে ছিলেন। যে বলে বাউন্ডারির শট খেলা যায় তাতেও তিনি মারমুখী হননি। বিহারী এতটা রক্ষণাত্মক খেললেন বলেই ভারতীয় দল জেতার কথা ভাবতে পারল না। বাবুল লিখলেন, ''১০৯ বল খেলে ৭! অপ্রিয় কথাটা বলতে হচ্ছে। হনুমা বিহারী যে শুধু ভারতের জয়ের সম্ভাবনাকে মাঠে মারল তাই নয়, ক্রিকেটেরও খুন করল। জিততে পারি, এই মনোভাব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাটাও কিন্তু অপরাধ।''
আরও পড়ুন- Ind vs Aus: ধৈর্যের পরীক্ষায় পাস Team India, অজিদের চোখরাঙানি এড়িয়ে ম্যাচ বাঁচাল ভারত
বাবুল আরও লিখলেন, ''হনুমা মারার বলে অন্তত বাউন্ডারি পাওয়ার মতো শট খেললে ভারত ঐতিহাসিক জয় পেতে পারত। পন্থ যেমন খেলল, কেউই সেটা আশা করেনি। হনুমা সেট ব্যাটসম্যান হিসাবে অন্তত মারা বলে মারতেই পারত।'' এত কথা বলার পর বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসাবে বাবুল উল্লেখ করেছেন, ''আমি ক্রিকেটের কিছুই বুঝি না।'' Sydney Test-এ ভারতীয় দল একটা সময় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু ম্যাচ ও দলের চোট পরিস্থিতি অনুযায়ী হয়তো অধিনায়ক রাহানে বা টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্য়ানরা আগ্রাসী হতে চাননি। শেষমেশ তাই ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতীয় দলকে।