স্পিন ও সুইং দুই আছে, তবে গোলাপি বল একটু বেশি লাফায়!

সংশয় কাটিয়ে গোলাপি বলের প্রশংসায় বঙ্গ ক্রিকেট। ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি বলের দিনরাতের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলও। প্রথম দিনরাতের টেস্ট খেলার আগে প্রথমবার দেশে পরীক্ষামূলকভাবে গোলাপি বলে ম্যাচ হল ইডেনে । সিএবির সুপার লিগের ফাইনাল ম্যাচ দেখে গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে উত্সাহিত ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও।

Updated By: Jun 20, 2016, 11:06 PM IST
স্পিন ও সুইং দুই আছে, তবে গোলাপি বল একটু বেশি লাফায়!

ব্যুরো: সংশয় কাটিয়ে গোলাপি বলের প্রশংসায় বঙ্গ ক্রিকেট। ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি বলের দিনরাতের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলও। প্রথম দিনরাতের টেস্ট খেলার আগে প্রথমবার দেশে পরীক্ষামূলকভাবে গোলাপি বলে ম্যাচ হল ইডেনে । সিএবির সুপার লিগের ফাইনাল ম্যাচ দেখে গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে উত্সাহিত ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও।

এবার গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ নেবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ

গোলাপি বল পিচে পড়ার আগে নানান সংশয়ে ছিল বঙ্গ ক্রিকেট। সৌরভ গাঙ্গুলি,ভিভিএস লক্ষ্মণ,ডিন জোন্সরা অভয় বাণী দিলেও ঋদ্ধিমান,সামিদের সংশয় কিছুতেই যাচ্ছিল না। সুপার লিগের ফাইনালের দুই দল মোহনবাগান ও ভবানিপুরের ক্রিকেটাররাও অনুশীলন ছাড়া গোলাপি বলে দিনরাতের ম্যাচ খেলতে নামার সময়ও অস্বস্তিতে ছিলেন। মোহনবাগান অধিনায়ক শুভময় দাস যেমন ভয় পাচ্ছিলেন বলের সুইং নিয়ে। সেরকম ভবানিপুরের ঋত্বিক চ্যাটার্জির সংশয় ছিল স্পিনারদের নিয়ে। কারন স্পিনাররা গোলাপি বলে কতটা স্পিন করাতে পারবেন তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন ঋত্বিক। কিন্তু ম্যাচের তিন দিনের পর সব ক্রিকেটারই স্বীকার করে নিলেন গোলাপি বলে খেলাটা রীতিমত চ্যালেঞ্জিং হলেও এই বল থেকে সুবিধা পেতে পারেন বোলার ও ব্যাটসম্যান দুজনেই। ভারতীয় টেস্ট দলের সদস্য ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ সামি দুজনেই মজেছেন গোলাপি বলে। ঋদ্ধিমানের সাফ কথা গোলাপি বল একটু বেশি লাফাচ্ছে। তবে ব্যাটসম্যানরা শট সিলেকশন ঠিকমতো করলে বড় রান পাবেন। এপ্রসঙ্গে অনুষ্টুপ মজুমদার ও অরিন্দম ঘোষের উদাহরণ দেন তিনি।তিনি নিজেও সফল অনেকটা এগিয়ে এসে স্টান্স নিয়ে।
                               
গোলাপি বল হাতে প্রথম ম্যাচেই সফল মহম্মদ সামিও। ভবানিপুরের প্রথম ইনিংসের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন গোলাপি বলের সুইংটা কাজে লাগাতে পারলে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন পেসাররা। বলের পালিস নিয়েও খুশি বঙ্গ ক্রিকেটাররা। এমনকী স্পিনাররাও গোলাপি বলে খুশি। ঋদ্ধিমান আশা করছেন ইডেনের এরকম  সবুজ পিচে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট হবে না। স্পোটিং পিচে সেই টেস্ট হলে ভারতীয় দলের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বলেই তিনি মনে করেন।
                                              
ইডেনে প্রস্তাবিত ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টের আগে বেশ স্বস্তিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে জানতে চেয়েছিলেন গোলাপি বল নিয়ে ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া কী? সৌরভের সঙ্গে কথা বলার পর অনেকটাই আশ্বস্ত অনুরাগ।  এর ফলে ২৪ জুন বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সৌরভ গাঙ্গুলির টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাবিত গোলাপি বলে দলীপ ট্রফিতে সিলমোহর দেওয়াটা কার্যত সময়ের অপেক্ষা।

.